সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম পূজা তাঁরই হয়। তিনিই বিঘ্নহর্তা ও সিদ্ধিদাতা গণেশ (Lord Ganesha)। প্রতি বছর ধুমধাম করে তাঁর আরধনা করেন ভক্তরা। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে। কিন্তু এখন আর গণেশ পুজো শুধুমাত্র এই ক’টি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা দেশেই গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi ) পালিত হয়। গণপতিকে বাড়িতে এনেও পুজো করেন অনেকে। কিন্তু বিঘ্নহর্তাকে বাড়িতে এনে পুজো করারও কিছু নিয়ম রয়েছে। যে বিগ্রহের শুঁড় বাম দিকে, তেমন মূর্তিই ঘরে আনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিঘ্নহর্তার যে মূর্তির বাম দিকে শুঁড় থাকে সেটিকে বামুখী গণেশ বলা হয়। আর যে মূর্তির ডান দিকে শুঁড় থাকে তা হল সিদ্ধিবিনায়ক। সাধারণত মন্দিরে বা প্যাণ্ডেলে সিদ্ধিবিনায়কের মূর্তির পুজো হয়। কারণ এই মূর্তি পূজার এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা শুধুমাত্র তেমন বড় কোনও জায়গাতেই করা সম্ভব। অন্যদিকে বামুখী মূর্তি সহজেই বাড়িতে পুজো করা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে বাড়িতে সহজেই বানান সুস্বাদু মোদক, রইল রেসিপি]
আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে গণেশ পুজো শুরু হবে। চলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। হিন্দু ধর্মমতে, ‘সংকট-মোচন’ গণপতির আরাধনা করলে সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। গণপতি বাপ্পার পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। গণেশ পুজোতে লাল কাপড় লাগে, তৈরি করতে হয় পঞ্চামৃত। পুজোর উপকরণে রাখতে হয় পৈতে। সুপুরি, পান, লবঙ্গ, ঘি, কর্পুর, গঙ্গাজল দিয়ে সিদ্ধিবিনায়কের পুজো সম্পন্ন হয়।
পণ্ডিতরা বলেন, সিদ্ধিদাতার মূর্তির কখনও দক্ষিণদিকে মুখ করে বসাতে নেই। ঘরের দক্ষিণদিকেও এই মূর্তি না রাখা ভাল। উত্তর-পূর্ব দিকে গণপতি বাপ্পা অধিষ্ঠান করলে সংসারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে বলেই মনে করেন তাঁরা। মোদক, দূর্বাঘাস, গাঁদাফুল, জবাফুল এবং কলা দিয়ে বাপ্পার আরাধনা করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।