সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই ২৬ মে। তিন বছর আগের সেই সর্বস্ব হারানোর দিন। সেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের স্মৃতি উসকে রবিবার রাতেই বাংলা ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে 'রেমাল'। বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়ার পর অনেকটাই এগিয়ে এসেছে সে। আগামী ৬ ঘণ্টায় 'ভয়াবহ' রূপ ধারণ করবে বলছে হাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার সকালেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে 'রেমাল'। তার পরের ছঘণ্টায় স্থলভাগের দিকে বেশ কিছুটা এগিয়েছে। সেই সময় গতি ছিল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। বর্তমানে তার গতিবেগ ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে আগামী ৬ ঘণ্টায় শক্তি এবং গতিবেগ দুই বাড়াবে সে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে 'রেমাল'।
[আরও পড়ুন: ফের ভারতের কান জয়, এবার গ্রাঁ প্রি পায়েল কাপাডিয়ার, পুরস্কার পেয়ে কী বললেন?]
হাওয়া অফিসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, সাগরদ্বীপ থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, দিঘা থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ মেঘলা। দফায়-দফায় বৃষ্টি চলছে। সঙ্গী হয়েছে দমকা হাওয়া। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই তিন জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। রবিবার প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দু-এক জায়গায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। অন্যান্য জেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসা চলাকালীনই দিল্লির শিশু হাসপাতালে আগুন, পুড়ে মৃত অন্তত ৭ সদ্যোজাত]
পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোমর বেঁধে তৈরি প্রশাসন। উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে অতিরিক্ত ৫টি করে শয্যা তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কেউ জখম বা অসুস্থদের চিকিৎসা হবে সেখানে। অবস্থা গুরুতর হলে উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে তাঁকে আনা হবে বারাসত মেডিক্যালে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে এম আর বাঙুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে জেলা হাসপাতালে।