অভিরূপ দাস: বিপজ্জনক সেতুর যে তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার, তার মধ্যে অন্যতম শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশনের উপর বিদ্যাপতি সেতু। সেতুর নিচের দিকে পলেস্তারা খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে এই সেতুর নিচেই কয়েকশো দোকান। সংস্কার করতে গেলে বন্ধ রাখতে হবে দোকানগুলি। তাতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ২৫ জুন পুরসভা এবং কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে দোকানদারদের কাছে এই আবেদন নিয়ে যাওয়া হবে। এনিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ''আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব। উড়ালপুল সারাতে মাস তিনেক সময় লাগবে। তবে টানা তিনমাস বন্ধ রাখতে হবে না দোকান।'' পুরসভা সূত্রে খবর, তিন ধাপে সেতুর নীচের অংশ সংস্কারের কাজ হবে। নিত্যদিন ওই সেতুর উপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত সেতু সংস্কার করতে চাইছে কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা।
ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে পুজোর (Durga puja)আগে সেতু সংস্কারে হাত দিতে পারেনি রাজ্য। শুক্রবার ফিরহাদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে প্রথম দফার কাজ হবে পুজোর আগে। পুজোর বাজারের আগেই দোকান খুলে দেওয়া হবে। মেয়রের বক্তব্য, দোকান বন্ধ না করে উড়ালপুল (Flyover) মেরামত করা যাবে না। তবে সবাইকে একসঙ্গে বন্ধ করতে হবে না। তিনধাপে এক একবার একমাস ধরে কাজ হবে। কত দোকান রয়েছে, তার সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। এদিন ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, উড়ালপুল সারানোর জন্য দ্রুত টেন্ডারও হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা একটাই। অনেক দোকানি দোকান বন্ধ রাখতে নারাজ। ফিরহাদের আশ্বাস, ‘‘উড়ালপুলটা নিচ থেকে শক্ত করতেই হবে।’’
[আরও পড়ুন: মক্কায় দাবদাহ! হজযাত্রায় গিয়ে মৃত ৯৮ ভারতীয়]
অনেকদিন আগেই এই সেতু সংস্কারের (Renovation) সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু দোকানদাররা রাজি হচ্ছিলেন না। মেয়র এদিন জানিয়েছেন, দোকানদারদের সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলবেন। তাঁরা রাজি থাকলে পুজোর আগে একটা অংশে সংস্কার করে দেওয়া হবে। পুজোর আগেই খুলে দেওয়া হবে সেই অংশ। কোনও লোকসান হবে না। এর পর শীতকালে আবার দুটো অংশে কাজ করা হবে। উল্লেখ্য, শিয়ালদহ উড়ালপুলের উপরে ট্রামলাইনে (Tram) আর ট্রাম চলে না। মেয়র জানিয়েছেন, সেই ট্রাম লাইনটাও তুলে দিতে চান তাঁরা। কিন্তু ট্রাম-প্রেমিকরা হাই কোর্টে মামলা করে তা আটকে দিয়েছেন বলে আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।