সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রয়াত বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা আবদুল কাদের (Abdul Kader)। শনিবার সকালে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৬৯ বছরের অভিনেতার প্রয়াণের খবর জানান তাঁর পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি।
জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর আবদুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তার ক্যানসার হয়েছে এবং আর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে সেখানে কেমোথেরাপি করা সম্ভব হয়নি। ২০ ডিসেম্বর অভিনেতাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ICU-তে স্থানান্তরিত করা হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানেই শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিশিষ্ট অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেন, “সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আবদুল কাদের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।” প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের সদস্য ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: সুপারস্টার রজনীকান্তের রক্তচাপ এখনও বেশি, করা হবে আরও কিছু পরীক্ষা]
১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্ম আবদুল কাদেরের। ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের চরিত্র ‘বদি’ খ্যাত আব্দুল কাদেরের জন্ম বিক্রমপুর (আধুনা) মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তিনি টেলিভিশনে প্রায় দুই হাজারের বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। তারপর ১৯৭৯ সাল থেকে ‘বাটা’ কোম্পানিতে চাকরি করেন। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের। সিনেমা, টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন জগতে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। বাংলাদেশের নাটকের দল ‘থিয়েটারে’র সদস্য হিসেবে অনন্ত ৩০টি প্রযোজনায় অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের নাট্যশিল্পী ও নাট্যকারদের সংগঠন টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদের (টেনাশিনাস) সহ-সভাপতি ছিলেন আবদুল কাদের।