সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। অভিযোগ, বিরোধী নেতা থেকে বিচারপতি, ভোটকুশলী থেকে সাংবাদিক-আড়ি পাতা হয়েছে সকলের ফোনে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামও। অর্থাৎ অভিষেকের কাছে কার ফোন আসত, কার সঙ্গে তিনি কী কথা বলতেন, সবকিছুর উপরই চলত নজরদারি। অভিযোগ, রেহাই পাননি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও (Prashant Kishore)। তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম The Wire। এর পরই বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে বাংলার হাইভোল্টেজ নির্বাচন প্রক্রিয়া। যেখানে বিজেপির অন্যতম নিশানা ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপিকে আটকে বাংলায় ঘাসফুল ফোটাতে তৃণমূলের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। মনে করা হচ্ছে, বঙ্গজয়ে বিজেপির ‘পথের কাঁটা’ দুজনের ফোনেই আড়ি পাতা হয়েছিল। আর সবটাই কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে হয়েছিল বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’ দাবি করেছে, অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিবের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল। এই তালিকায় প্রশান্ত কিশোর ঘনিষ্ঠদের নামও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ১৪ মাসে LPG’র দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অমিত মিত্রের]
এদিন টুইটারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “হতভাগ্যদের জন্য ২ মিনিটের নীরবতা। পেগাসাস নিয়ে নজরদারি চালিয়েও অমিত শাহ নিজের মুখরক্ষা করতে পারেননি। ২০২৪ সালের জন্য আরও শক্তিশালী অস্ত্র জোগার করুন।” অন্যদিকে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পরপর পাঁচবার মোবাইল বদল করেছি। তার পরেও হ্যাকিং বন্ধ হয়নি।” তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, “বাংলার ভোটের আগে থেকে যদিও এই আড়ি পাতা শুরু হয়ে থাকে। তাহলে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর কোনও প্রভাব পড়ছে না।”
দ্য ওয়্যার’ নামে সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও জানানো হয়েছে, দেশের একাধিক সাংবাদিক, বিরোধী নেতা-নেত্রী, ব্যবসায়ীদের ফোনে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের সাফাই, এই ধরনের কোনও হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনও ভিত্তি নেই। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, ভারত একটি মজবুত গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সব নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়। এই প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে ২০১৯-এ পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল আনা হয়েছে। ২০২১-এ আনা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইন, যাতে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।