সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) সীমান্তে মোতায়েন মানববোমা। তালিবানের এই বিশেষ বাহিনীর হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সীমান্তের দায়িত্ব। বিশেষ করে তাজিকিস্তান সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করা হচ্ছে মনসুর বাহিনীকে (Mansoor Army)। কী বিশেষত্ব রয়েছে তাদের?
বাদাখশান প্রদেশের গভর্নর মোল্লা নিশার আহমেদ আহমেদি জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই দলটি লস্কর-ই-মনসুর বা মনসুর সেনা নামে পরিচিত। পূর্বের আফগান সরকার এবং মার্কিন সেনাঘাঁটিতে তালিবানি হামলার জন্য ব্যবহার করা হত এদের-ই। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই বাহিনী নিজেদের মানববোমায় পরিণত করতে পারে যে কোনও সময়। এবার বাদাখশান প্রদেশের চিন ও তাজিকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে তাদের।
[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টিতে বাজেয়াপ্ত মাদক, শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে জেরা এনসিবি’র]
মনসুর বাহিনীর প্রশংসা করে মোল্লা নিশার আহমেদ আহমেদি বলে, “এই বাহিনী ছাড়া আমেরিকার বিরুদ্ধে জয় সম্ভব ছিল না। বিস্ফোরক ভরতি পোশাক পরে আফগানিস্তানের মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা চালাত তারা। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মার্কিন সেনা এবং তাদের সম্পত্তির ক্ষতি করেছে। এরা ভয়ডরহীন হয়ে ঈশ্বরের জন্য লড়াই করে।” চিন ও তাজিকিস্তান সীমান্তে এই বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, সীমান্তে শুধু মনসুর বাহিনী-ই নয়। মোতায়েন করা হচ্ছে বদরি-৩১৩ বাহিনীও। মাথায় ‘ব্যালিস্টিক হেলমেট’, ‘ক্যামোফ্লাজ ব্যাটেল ফেটিগ’ আর ‘বুলেটপ্রুফ ভেস্ট’ পরিহিত এই বাহিনী বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত বলে দাবি করে তালিবান। তাদের হাতে রয়েছে কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্বও।
[আরও পড়ুন: গান্ধী জয়ন্তীতে ‘বাপু’কে স্মরণ দুবাইয়ের বুর্জ খালিফার, উড়ল তেরঙ্গাও, দেখুন ভিডিও]
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। সেদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে ন্যাটো ও মার্কিন সেনা। শুরু হয়েছে এক অন্ধকার যুগ। কিন্তু দিন কয়েক আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তরের সচিব জন কার্বি জানিয়েছেন, আমেরিকার অধিকার রয়েছে আফগানিস্তানে ফের ড্রোন হামলা চালানোর। তাঁর এহেন মন্তব্য থেকেই জোরাল হয়েছে গুঞ্জন। তাহলে কি আফগানভূমে ফের ‘রণং দেহি’ মূর্তিতে দেখা যাবে আমেরিকাকে? এদিকে আমেরিকার এহেন হুমকির পর থেকেই সীমান্তে সে আত্মঘাতী স্কোয়াডকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল তালিবান।