সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতিল ঘোষিত হওয়া ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ফিরে গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের ঘরে। বাজারে পড়ে রয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। ২০০০ টাকার নোট বদল করার ডেডলাইন শেষ হতে এখনও দু’মাস বাকি। ওই দু’মাসে বাকি ১২ শতাংশ টাকাও সরকারের ঘরে ফিরে যাবে বলে ধারণা অর্থনৈতিক মহলের।
মে মাসের মাঝামাঝি রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank) বাজার থেকে সব ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। বিবৃতি জারি করে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ব্যাংকে জমা করা যাবে। একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যে কোনও ব্যাংকেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে।অর্থাৎ বাতিল ঘোষিত হলেও আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোটকে বৈধ মুদ্রা বলেই গণ্য করা হবে।
[আরও পড়ুন: শোকজের জবাব দেওয়ার আগে সুব্রত বক্সিকে ফোন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের, কী উত্তর মিলল?]
সেই ঘোষণার পর আড়াই মাস কেটেছে। আর এই আড়াই মাসে বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ফিরে গিয়েছে সরকারের ঘরে। মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট চালু ছিল। যার মধ্যে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি ফিরে এসেছে আরবিআইয়ের (RBI) হাতে। অর্থাৎ বাজারে পড়ে রয়েছে মাত্র ৪৮ হাজার কোটি টাকার ২ হাজার টাকার নোট।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ বিতর্কিত দিল্লি সার্ভিসেস বিল, মোদিকে সমর্থন নবীন পট্টনায়েকেরও]
অর্থনৈতিক মহলের ধারণা, সামান্য যে টাকাটা ব্যাংকে ফিরতে বাকি সেটাও আগামী দু’মাসের মধ্যে ফিরে আসবে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও যদি কারও কাছে কালো টাকা থেকে থাকে সেটাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা যাবে না।