নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার স্টোনম্যানের আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। রাত ৯ টা বাজলেই যেন শহরজুড়ে অলিখিত লকডাউন। যেখানে সদরের মানুষ গভীররাত পর্যন্ত অবাধে যাতায়াত করতেন। এখন রাত ৯ টার পর শুনশান চায়ের দোকানও। কারণ, গত শুক্রবার প্রকাশ্য রাজপথে ভারী পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে স্টোনম্যানের কায়দায় যুবককে খুন।
পুজোর আগে একই পরিস্থিতি হয়েছিল আমোদপুরে ও লাভপুর থানা এলাকায়। আমোদপুর লাভপুর পথে অগয়া সেতুর কাছে দুজনকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়। যার জেরে পুজোর মুখে সন্ধ্যায় তেমন ব্যবসা করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলা সদরে। লক্ষীপুজো শেষে সন্ধ্যা হলেই কুয়াশায় মুড়ছে পথঘাট। তাছাড়া শহরে খুনের পরে তিনঘণ্টা পুলিশের কোনও হদিশ ছিল না। স্থানীয় মানুষজন সকালে পুলিশকে খবর দিলে তারা খুন হয়ে পরে থাকা সাঁইথিয়ার শেখ কুতুবুদ্দিনের দেহ তুলে আনে। সেই ঘটনায় ধৃত শেখ ইমরান জানান, তারা ভোর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আড্ডা মারেন।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনা তরুণীর, শোরগোল মালদহে]
শুধু ধৃতরাই নয়। শহরজুড়ে বেশ কিছু এলাকায় রাত্রিকালীন এমন বহু আড্ডা চলত। ঘটনার পর থেকে সে সব বন্ধ। নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশের পর আর কোনও পুলিশ দিনে রাতে রাস্তায় থাকে না। তার নির্দেশের জেরেই জেলার সব থানার তরফ থেকে নজরদারি শুরু বয়। কিন্তু পুলিশ থানার বারাকে বসে খেলা দেখছে। এখন ৯ টার পর সব ফাঁকা। পুজোর পরে আত্মীয়ের বাড়িতে আসা বেশ কিছু কলকাতার বাসিন্দা জানান, “ভাইরাল ছবিতে যেভাবে স্টোনম্যানকে ভারী পাথর দিয়ে খুন করতে দেখলাম, তাতে শিউড়ে উঠেছি।” পুলিশের নজরদারিহীন রাস্তায় আর বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না মানুষ।