শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: রাজ্যভাগ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগের দাবি। অবিলম্বে দাবি পূরণের দাবিতে জঙ্গিপুর মহকুমা জুড়ে জোরদার আন্দোলনের ডাক। রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রবীন্দ্র ভবনে জেলা সংগ্রাম সমিতির গণকনভেনশন থেকে উওর মুর্শিদাবাদ জেলার দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিনের জেলাভাগের দাবিতে গণকনভেনশনে হাজির ছিলেন বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ।
জানা গিয়েছে, জেলাভাগের দাবিতে আগামী ৮ আগস্ট ফরাক্কা থেকে সাগরদিঘি পর্যন্ত সাইকেল মিছিল হবে। ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিটি ব্লকে ব্লকে জেলাভাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান ও বৃক্ষদান কর্মসূচি পালন করা হবে। ২ রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে জঙ্গিপুর সদর শহরে সত্যাগ্রহ আন্দোলন পালিত হবে। ১৪ নভেম্বর নতুন জেলার দাবিতে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। ৩ রা ডিসেম্বর জঙ্গিপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে জমায়েত ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে নতুন জেলার দাবিতে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভাগ করে উওর মুর্শিদাবাদ জেলার দাবিতে গড়ে তোলা হয়েছিল জেলা সংগ্রাম কমিটি। কমিটির সভাপতি হন শিক্ষক বিরাট বন্দোপাধ্যায় ও সম্পাদক হন শিক্ষক হাসানুজ্জামান বাপ্পা। ২০২২ সালের ১ লা আগস্ট নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগের কথা। ছ'মাসের মধ্যে নতুন জেলা ভাগের কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো জঙ্গিপুরে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন সার্কিট হাউস ও জেলাপরিষদ ভবন।
[আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনা, উত্তরপ্রদেশে লাইনচ্যুত দিল্লি-সাহারানপুর যাত্রীবাহী ট্রেনের একাধিক কামরা]
জেলা কমিটির সভাপতি বিরাট বন্দোপাধ্যায় জানান, "এক সময় মুর্শিদাবাদ ছিল বাংলা - বিহার ও ওড়িশার রাজধানী। সারাদেশের মধ্যে মুর্শিদাবাদ নবমতম জনবহুল জেলা। প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের বসবাস এই জেলায়। আয়তনে এই জেলা ৫৩১৮ বর্গকিলোমিটার। আমরা হৃদয়ের ভাগ নয়, উন্নয়নের সুবিধার্থে জেলা ভাগের দাবি চাইছি। " সম্পাদক হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ২০২২ সালের ১ আগস্ট মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগের কথা ঘোষণা করলেও আজও তা কার্যকার হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি গেজেট আকারে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ না হচ্ছে উওর মুর্শিদাবাদ জেলার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।"