সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভ্র তুষারে রক্তের দাগ! সাম্প্রতিককালে একের পর এক জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। শহিদ হয়েছেন সেনা জওয়ানরা। এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তান সেনার প্রাক্তন অফিসারদের প্রত্যক্ষ মদত। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনী ‘স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপ’-এর প্রাক্তন অফিসারেরা জঙ্গিদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শেখানে হচ্ছে গেরিলা হানার কৌশল। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র নিয়েও বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট জানা গিয়েছে, এগুলির বেশির ভাগই ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া আমেরিকার সেনার অস্ত্র। চলতি জুলাই মাসে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন। পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনী ‘স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপ’-এর প্রাক্তন অফিসারেরাই আমেরিকার ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জঙ্গিদের। সেনার বক্তব্য, ২০২১ সালে আমেরিকা যে সব বুলেট আফগানিস্তানে ফেলে এসেছিল, সেগুলিই পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, সেনা এবং আধাসেনার হতাহতের সংখ্যা কেন বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: দোকানে থাকতে হবে মালিকের নাম, এবার কানোয়ার যাত্রার সব রুটেই নির্দেশিকা জারি যোগীর]
২০২১ সালে আফগানিস্তানে ব্যবহৃত আমেরিকান বুলেট বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করতে সক্ষম। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আমেরিকার অস্ত্রের একাংশ লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, কাশ্মীর টাইগার্সের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে ভূস্বর্গে একাধিক সেনা অভিযানে, নাশকতার ঘটনায় জঙ্গিদের যেমন মৃত্যু হয়েছে, তেমনই প্রাণ গিয়েছে ‘দেশপ্রেমের দিনমজুর’ সেনাকর্মীদের। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩২ মাসে শহিদ হয়েছেন ৪৮ জন জওয়ান।