সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ঋষি সুনাক। ২৮ অক্টোবর শপথ নেবেন তিনি। সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাকের উপরই আস্থা রাখল কনজারভেটিভ পার্টি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কোহিনুর ফেরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়া।
আজ টুইটারে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন পেনি মরড্যান্ট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন ‘হাউস অফ কমন্স’-এ কনজারভেটিভ পার্টির (টোরিও বলা হয়) ৩৫৭ জন সাংসদের অর্ধেকেরও বেশি সুনাকের (Rishi Sunak) পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল, অর্থাৎ রবিবার শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই জন্য সোমবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারতের জামাইয়ের নামে সিলমোহর পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলই। আর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা হতেই কোহিনুর হীরা ভারতে ফেরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়া।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বাসভবনে মিসাইল হামলা রুশ সেনার, ‘আক্রমণ আরও বাড়বে’, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার]
ঋশভ নামের এক ইউজার লেখেন, ‘দ্য এমপায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। এবার কোহিনুর ফেরেত পাঠিয়ে দিন।’ অন্য একজন নেটাগরিক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঋষি সুনাকের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘কোহিনুরকে কীভাবে ভারতে ফেরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী সুনাক।’ শশাঙ্ক কুমার নামের এক টুইটার ইউজার লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। তাঁকে অভিনন্দন। ইউকে-কে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার পর আশা করছি তিনি কোহিনুর, অমরাবতী স্তুপ, বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদিকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।’
উল্লেখ্য, ১৮৪৯ সেলে ভারত থেকে কোহিনুর (Kohinoor) হীরা ইংল্যান্ডে নিয়ে যায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেখানে রানি ভিক্টোরিয়া হিরেটিকে রাজভূষণের অংশ করে নেন তিনি। ১৯৩৭ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময় তাঁর স্ত্রী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মুকুটে বসানো হয় কোহিনুরকে।
বলে রাখা ভাল, আগামী বছর রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের (Charles III)। সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী বছর বা ২০২৩ সালের ৬ মে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে হবে অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে ক্যামিলাকেও রানি ঘোষণা করা হবে। তিনি কোহিনুর খচিত মুকুট পরবেন। কিন্তু এনিয়ে সদ্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যাভিষেকে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনুর থাকবে কি না? এই প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছে বাকিংহাম প্যালেস। কারণ, এনিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বর্তমান শাসকদল বিজেপি।