সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত শিকেয়। বুধবার দিনভর জুনিয়র চিকিৎসক এবং ইন্টার্নদের কর্মবিরতির জেরে আউটডোর পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ ছিল। বৃহস্পতিবারও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য কার্যত কাতর আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মনে করালেন, 'চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'
বুধবার প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেহালার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "বারবার আবেদন করছি চিকিৎসকদের যারা এখনও ডিউটি জয়েন করেননি। ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এর মধ্যে একটি শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও রয়েছে। সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি, আপনারা কিন্তু চিকিৎসা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচ দিন তো হয়ে গেল এবার পরিষেবা দিন। চিকিৎসাটা দিন।"
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে!’ আর জি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি]
কার্যত কাতর স্বরে মমতার আর্জি, "আপনাদের পায়ে ধরছি। তাতে যদি আপনাদের চরণযুগল শান্ত হয়। আন্দোলন করেছেন তো চার পাঁচদিন। কেউ কিছু বলেনি। এবার পরিষেবা দিন। আপনারা প্র্যাকটিস করলেও একটা জায়গায় চাকরি করেন সেটা মনে রাখুন। এখন সিনিয়র ডাক্তাররা অনেক জায়গায় পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।"
[আরও পড়ুন: রক্তাক্ত কাশ্মীর! ডোডায় তল্লাশি অভিযানে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ সেনা আধিকারিক]
বস্তুত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি করেছে। ওপিডি পরিষেবা কার্যত শিকেয়। কোনওক্রমে সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে আংশিকভাবে আউটডোর পরিষেবা চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসেও ওপিডি পরিষেবা স্বাভাবিকভ হবে না। সেদিকে নজর রেখে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। এদিন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের সুপার, প্রিন্সিপাল এবং সিএমওএইচদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্তাদের বুঝিয়ে দেন, জনরোষ বাড়ছে। তাই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করলেন।