সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পর থেকেই বার বার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিসিটিভি লাগানো, শৌচালয়-সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো-সহ বিভিন্ন কাজের সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ফের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে, সে প্রশ্ন জানতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সে কারণে সিসিটিভি বসানো-সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে শেষে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এখনও পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানো সংক্রান্ত ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই জানান। শৌচাগার নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে বলেই জানান। প্রধান বিচারপতি ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ যাতে সম্পূর্ণ হয়, তা রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আগামী সাতদিনের মধ্যে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শেষ করার চূড়ান্ত ডেডলাইন বেঁধে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে সে কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফের ডেডলাইন বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৪ অক্টোবর ফের এই মামলার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সম্ভাবনা।