সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। টানা প্রায় ৩৯ দিন ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনকারীরা। কবে কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা, এদিনের সুপ্রিম শুনানিতে প্রশ্ন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের। মঙ্গল কিংবা বুধবারের মধ্যে জিবি বৈঠকে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একাধিক দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতবারের শুনানিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে তা সত্ত্বেও কাজে ফেরেননি তাঁরা। পরিবর্তে স্বাস্থ্যভবনের সামনে টানা ধরনায় জুনিয়র চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকবারের চিঠিযুদ্ধের পর সোমবার রাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেব জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারীদের সিংহভাগ দাবিই মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন। এই আশ্বাস কার্যকর হওয়ার পরই কর্মবিরতি সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই সাফ জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আর কবে উঠবে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রশ্ন করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের আইনজীবী করুণা নন্দীর সাফ জানান, কাজে না ফেরার জন্য নিরাপত্তাহীনতাই মূল কারণ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারলে কাজে ফিরতে কোনও সমস্যা নেই তাঁদের। মঙ্গল কিংবা বুধবার জিবি বৈঠকের পরই আন্দোলনকারীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলেই সাফ জানান জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ যাতে না নেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান আইনজীবী। সে বিষয়ে অবশ্য কোনও কঠোর নির্দেশিকা জারি করেননি প্রধান বিচারপতি। পরিবর্তে তাঁদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে মনিটরিং কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা, কোনও রকম হেনস্তার ঘটনা ঘটছে কি না, খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।