সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক যে ছিল মেয়ে। মা-বাবার আদরের। ভবিষ্যতে হয়তো কত মানুষকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তুলতে পারত। কিন্তু তা আর হল কই? আর জি কর হাসাপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর (RG Kar Doctor Death) ঘটনায় রাজ্যের দিকে দিকে প্রতিবাদ। বাদ নেই টলিউডও। তীব্র প্রতিবাদে সরব হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দিতিপ্রিয়া রায়। 'রাত দখল' অভিযানে যোগ দিতে যাবেন সোহিনী সেনগুপ্ত, ইমন চক্রবর্তী। এদিকে নির্যাতিতার নাম কেন লুকানো হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীলেখা মিত্র।
আর জি করের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, "নির্ভয়ার দৃষ্টান্ত কি এভাবেই চলতে থাকবে? তার যে এত বড় একটা সাংঘাতিক আন্দোলন হল। তার পর আমাদের রাজ্যেই এটা হল? তাহলে কি হাসপাতাল, কোনও স্কুল, কলেজ, কোথাও কোনও নিরাপত্তা নেই? আমার এটাই প্রশ্ন যে এই রকম ঘটনা দিনের পর দিন ঘটতে থাকবে, কিছুদিন এটা নিয়ে কথা হবে, আবার আরেকটা ঘটনা হবে, এভাবেই কি চলতে থাকবে আমাদের সমাজ? কোন অন্ধকারে আমরা মিশে যাচ্ছি? শরীর খারাপ লাগে এটা ভাবতে ভাবতে যে আমরা এই জায়গায় এই পরিবেশে বাস করছি। প্রত্যেক মুহূর্তে কী ভয়ে ভয়ে বাঁচব?"
এমন ঘৃণ্য কাজ যারা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান দিতিপ্রিয়া রায়। "আমরা চাইছি, যাতে অন্য কারও মুখ দিয়ে আসল সত্যিটা আড়াল না করা হয়। যারা এই ঘৃণ্য কাজে মদত দিয়েছে, তাদেরও যেন কঠোর শাস্তি হয়", সংবাদমাধ্যমকে বলেন অভিনেত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘রাত দখল’ অভিযানে যেতে না পারলে কী করবেন? জানালেন স্বস্তিকা]
১৪ আগস্টের 'রাত দখল' অভিযানে সাধারণ মানুষ হিসেবে যাবেন বলেই জানান ইমন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, "কে আমি গান গাই, কে অভিনেত্রী, সেই হিসেবে যাচ্ছি না। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে যাচ্ছি। সকলের সঙ্গে একসঙ্গে গলা মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে এই বার্তা দিতে চাই যে যেই রাতের বেলায় মেয়েটি খুন হয়েছে। সেই রাতটাই মেয়েরা দখল করে নিয়েছে।"
"যে মানুষটি চলে গিয়েছে তাঁর যেন সঠিকভাবে বিচার হয়। আমরা যেন তাঁকে ভুলে না যাই সেই আবেগে আমরা অনেকে মিলে যাব, একসঙ্গে থাকব, আমাদের যা যা মনে হয় আমরা বলব। এটা কোনও রাজনৈতিক র্যালি নয়। এটা আমাদের আবেগের, আমাদের জোর গলায় কথা বলতে পারার এবং যা যা মনে নয় সেটা বলতে পারার একটা জায়গা", বলেন সোহিনী সেনগুপ্ত।
ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলে হেঁটেছেন শ্রীলেখা মিত্র। ফেসবুকে অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, "লেখেন, "নির্যাতিতা নাম লুকোবে কেন?" তাঁর বক্তব্য, নির্যাতিতার নাম তো তিলোত্তমা, অভয়া নয়। তাহলে মৃত্যুর পর অন্য নামে চিনবে কেন মানুষ? বরং এই ঘটনায় দোষীদের নাম প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান অভিনেত্রী।