সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবস্থানের পেরিয়েছে ১৮ ঘণ্টা। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফিয়ার্স লেনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। মঙ্গলবার বেলা ১২ টা নাগাদ ফের আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলা হল পুলিশের তরফে। তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে মিছিল। অন্যথায় ফিয়ার্স লেনে এসে কথা বলতে হবে সিপি বিনীত গোয়েলকে। তিনি না এলে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সাফ কথা, সিপি পদত্যাগ করুন। এক মিনিটে ফাঁকা হয়ে যাবে ফিয়ার্স লেন। অর্থাৎ পুলিশের তরফে দফায় দফায় জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হলেও অধরা রফাসূত্র।
সোমবার দুপুরে মিছিলে পুলিশ বাধা দিতেই ফিয়ার্স লেনে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি ছিল, মিছিল এগোতে দিতে হবে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে গিয়ে সিপির কাছেই সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি জানাবেন তাঁরা। কিন্তু কোনওমতেই মিছিল এগোনোর অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে সময় এগোতে থাকে। বাড়তে থাকে আন্দোলনের ঝাঁজ। সোমবার সন্ধ্যায় এসিপি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। আন্দোলন তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ২০ জনকে গিয়ে স্মারকলিপি পেশের পরামর্শ দেন। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে মিছিল। অন্যথায় ফিয়ার্স লেনে এসে কথা বলতে হবে সিপি বিনীত গোয়েলকে। তাঁদের দাবিও মানেনি পুলিশ। ফলে রাতভর চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: ‘বিহারকে উন্নতির দিশা দেখাবেন ক্লাস নাইন ফেল তেজস্বী!’ কটাক্ষ পিকের]
মঙ্গলবার সকালেও ফিয়ার্স লেনে চলছে অবস্থান। গোটা রাতের পর সকালেও রাস্তায় বসে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন দুপুরে এসিপি জাভেদ শামিম আসেন ঘটনাস্থলে। কথা বলেন আন্দোলনরতদের সঙ্গে। কিন্তু তাতে মেলেনি রফাসূত্র। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় আন্দোলনকারীরা। এসিপি জানান, আন্দোলনকারীরা তিনদফা দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কোন দিকে এগোয় এই আন্দোলন? সেদিকেই তাকিয়ে সবমহল।