সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার আকস্মিকতায় গোটা দেশ প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখনও সেই ঘোর কাটেনি দেশের। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মন্তব্য করছেন বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে। এবার সেই বিষয় নিয়ে কথা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিংও (Ricky Ponting)। কোহলি টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, এই খবর বাকিদের মতো তাঁকেও বিস্মিত করেছে।
অবশ্য প্রাক্তন অজি ক্যাপ্টেনের বিস্মিত হওয়ার কারণও রয়েছে। সেই কথাই পন্টিং জানিয়েছেন আইসিসি ক্রিকেট.কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। ২০২১ সালের আইপিএলের প্রথম পর্বে কোহলির সঙ্গে কথা হয়েছিল প্রাক্তন অজি তারকার। সেই সময়ে পন্টিংকে কোহলি বলেছিলেন, তিনি সাদা বলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন। তার পরিবর্তে টেস্টের নেতৃত্বের উপরে জোর দেবেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে কোহলি বোমা ফাটান। জানিয়ে দেন, তিনি টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: চার বলে চার উইকেট! ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে অনন্য নজির হোল্ডারের]
পন্টিং সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোহলির টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে তিনি অবাক হয়েছেন। সাক্ষাৎকারে বিশ্বজয়ী পন্টিং বলেন, ”আইপিএলের প্রথম পর্বের (২০২১) সময়ে কোহলি আমাকে বলেছিল সাদা বলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবে। তার পরিবর্তে টেস্ট দলের নেতা হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে। ওর সঙ্গে কথায় বুঝেছিলাম, টেস্ট দলের নেতৃত্ব নিয়ে কোহলি ভীষণ রকমের আবেগপ্রবণ। ভারতীয় টেস্ট দল কোহলির নেতৃত্বে অনেক কিছু অর্জন করেছে।”
পন্টিং আরও বলেন, ”আমি অবাকই হয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমি নিজের সময়ে অধিনায়ক থাকার কথা চিন্তা করছিলাম। আমি মনে করি আরও কয়েকবছর খেলতেই পারতাম। আরও কয়েকবছর আমি নেতৃত্ব দিতেই পারতাম দলকে।” পন্টিংয়ের বক্তব্য, ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া সবথেকে কঠিন। যুক্তি দিয়ে প্রাক্তন অজি ক্যাপ্টেন বলছেন, ”ভারতের ক্যাপ্টেন হিসেবে সাত বছর কাজ করেছে কোহলি। আমার মনে হয় ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া সবথেকে কঠিন কাজ। কারণ এই খেলাটা ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রতিটি ভারতীয় দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ংকর রকমের কৌতূহলী।”
উল্লেখ্য, কোহলির নেতৃত্বে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দল দাপটই দেখিয়েছে। ৬৮টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ৪০টি টেস্ট ম্যাচে জিতেছে কোহলির ভারত। পন্টিং বলছেন, ”বিরাটের নেতৃত্বের আগে ঘরের মাঠে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। কিন্তু বাইরের মাঠে গিয়ে সেভাবে জিতত না। কোহলি নেতা হওয়ার পরে বিদেশের মাটিতে গিয়ে ম্যাচ জিতেছে ভারত। এর জন্য কোহলি এবং তাঁর সতীর্থরা গর্বিত হতেই পারে।”