সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা-ভারত (IND vs SL) দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইতিহাস লিখলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant), যার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শক। টেস্টে ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন পন্থ। ভেঙে দিলেন কিংবদন্তি কপিল দেবের (Kapil Dev) চল্লিশ বছর আগের রেকর্ড।
১৯৮২ সালে পাকিস্তানে (Pakistan) সফর করে তৎকালীন ভারতীয় দলে। ওই সফরে করাচিতে ইমরানের দলের বিরুদ্ধে ৩০ বলে পঞ্চাশ রান করেন কপিল। এদিন বেঙ্গালুরুতে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন বর্তমান ভারতীয় দলের মারকুটে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান পন্থ। তিনি কপিলের চেয়ে ২ বল কম খেলে অর্থাৎ ২৮ বলে পঞ্চাশ করে ফেললেন।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় পেস ঝড়ে তছনছ লঙ্কাবাহিনী, অষ্টমবার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন বুমরাহ]
এমনিতে গোলাপি বলের টেস্টে দুই দেশের বোলাররাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। এর মধ্যেই আজ রণং দেহি মেজাজে দেখা গেল পন্থকে। রেকর্ড ভাঙা অর্ধশতরানের পথে ৭টি চার ও ২টি ছয় মারেন তিনি। যদিও পঞ্চাশ করার পরের বলে ফের ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন পন্থ।
ভারতীয়দের মধ্যে টেস্টে দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ডের তালিকায় ঋষভ ও কপিলের পরে রয়েছেন শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur) ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag)। গত বছর লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩১ বলে পঞ্চাশ করেন শার্দুল। অন্যদিকে ২০০৮ সালে চেন্নাইয়ে ৩২ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন বীরু।
[আরও পড়ুন: শামি-বুমরাহর দাপটে বেসামাল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডার, প্রথম দিনই চালকের আসনে ভারত]
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি টেস্টে দুই ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি এবং জশপ্রীত বুমরাহ একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারে ধস নামান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে মোট পাঁচটি উইকেট ঝুলিতে ভরে নজির গড়েন বুমরাহ। এই নিয়ে টেস্টে অষ্টমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান করে ভারত। অন্যদিকে ভারতীয় বোলাদের দাপটে প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পন্থ দাপট দেখান। তবে পঞ্চাশ করার পরে অহেতুক মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিলেন তিনি। পুরনো রোগ এখনও সারেনি পন্থের। প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন। এদিন আরও বড় ইনিংস খেলতেই পারতেন।যে বলে ফিরলেন তার আগের বলেই আউটের আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেযাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের বলটাই শূন্যে খেললেন। বোলার জয়বিক্রম তাঁর ক্যাচ ধরেন। আউট হওয়ার পরে হতাশ দেখায় পন্থকে।