সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে দিনকয়েকের ছুটি। তাই উত্তরাখণ্ডে পরিবারের সঙ্গে নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদযাপন করতে চাইছিলেন ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। উদ্দেশ্য ছিল, সাতসকালে বাড়ি পৌঁছে মা’কে চমকে দেবেন। কিন্তু মাঝপথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা সব বদলে দিল। টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার এখন উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের (Dehradun) এক হাসপাতালে ভরতি। তাঁর মাথা এবং পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে গিয়েছে পন্থের। সেখানে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হতে পারে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার (Ashok Kumar) জানিয়েছেন শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পন্থের গাড়িটি। সেসময় পন্থ গাড়িতে একাই ছিলেন। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিজেই গাড়ির জানাল ভেঙে বাইরে বেরোন তিনি। কিন্তু কীভাবে ঘটেছে দুর্ঘটনা? অশোক কুমারের বক্তব্য, পন্থ নিজেই তাঁকে জানিয়েছেন, ভোরবেলা গাড়ি চালাতে গিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। অশোক কুমার জানিয়ছেন, প্রথমে রুরকির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পন্থকে। পরে তাঁকে দেরাদূনের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘কৃষ্ণাঙ্গদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন’, পেলের মৃত্যুতে বললেন নেইমার, শোকস্তব্ধ মেসি-রোনাল্ডোরাও]
পন্থের গাড়ির দুর্ঘটনার ঠিক পরমুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে পন্থের গাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। দুর্ঘটনা যখন ঘটেছে তখনও আশেপাশে বেশ অন্ধকার ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পন্থ নিজেই গাড়ি থেকে বেরিয়েছেন উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে। আর কিছুক্ষণ গাড়ির ভিতরে থাকলে তাঁর প্রাণে বাঁচা মুশকিল হয়ে যেত। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে তিনি স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়েছেন, স্থিতিশীল হলেও মাথায় চোট থাকায় পন্থকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পেলের দলকে হারিয়েও দিতে পারত মোহনবাগান! সম্রাটকে দেখতে সেদিন কলকাতায় জনজোয়ার]
সদ্যই বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরেছেন পন্থ। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে নেই তিনি। আসলে সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। তাঁর আগে তাঁকে তরতাজা আর ফিট রাখতে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। এনসিএতে (NCA) যাওয়ার আগে নতুন বছরটা বাড়িতে কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। তার আগে এই দুর্ঘটনা তাঁর গোটা পরিবারকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিল।