সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের খবর শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন ঋষি কৌশিক (Rishi Kaushik)। এবারে মহিলাদের সিঁদুর পরা নিয়ে মন্তব্য করলেন অভিনেতা। তুললেন এক প্রশ্ন।
সিঁদুর পরা সিঁথির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন ঋষি। তার ক্যাপশনেই লেখেন, "কে কীভাবে চলবে এটা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। কিন্তু একজন পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে সিঁদুর পরতে বলে আর এই কারণে পুরুষটিকে যদি বলা হয় যে সে এখনও আধুনিক হতে শেখেনি, তাহলে আমাদের যে সকল মা এবং বোনেরা ভক্তিভরে সিঁদুর পরে তারা কি আধুনিক নয়?" অভিনেতার এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কেউ মনে করেন সিঁদুর পরা ব্যক্তিগত বিষয়, আবার কারও কারও মত, "মাঝে মাঝে ভালোবাসার মানুষের ইচ্ছের দাম দিতে হয়...।"
[আরও পড়ুন: বড়পর্দায় ফের অঞ্জন-অপর্ণা জুটি, পরমব্রত পরিচালিত ছবির নামে কালজয়ী গানের স্মৃতি]
সম্পর্ক, দাম্পত্য, বিচ্ছেদ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে চলেছেন ঋষি কৌশিক। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে ১২ বছরের এক দাম্পত্য যন্ত্রণার কথা ভাগ করে নেন তিনি। ভিডিওতে কারও নাম নেননি ঋষি কৌশিক। তবে তাঁর ও দেবযানীর বিয়ের বয়সও ১২। ঋষি যে গল্প বলেন, তার সারমর্ম, “বিয়ের আগেই মেয়েটির বিপরীতধর্মী জীবনযাপনের আভাস পায় ছেলেটি। তবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, বিয়ের পর পরিস্থিতি বদলে যাবে। কিন্তু হিতে বিপরীত হয় পরিস্থিতি। বদলানো তো দূরঅস্ত ঋষির কথায়, মেয়েটি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এবং ক্রমাগত ছেলেটির জীবনে সর্বত্র নাক গলাতে শুরু করে। জীবনে যখন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন, ছেলেটি বোঝায়, যে তাঁর পক্ষে আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না এভাবে।”
একথা বলার পরই অভিনেতা আরও মারাত্মক অভিযোগ তোলেন। বলেন, “মেয়েটিকে সুস্থ পথে বিচ্ছেদের কথা জানালেই সে নাকি থানা-পুলিশ এবং বড় কর্তাদের ভয় দেখায়।” এদিকে ঋষি কৌশিকের দাম্পত্য যন্ত্রণার কাহিনি নিয়ে যখন সোশাল মিডিয়ায় চর্চা নিরন্তর, ঠিক সেই সময়েই স্ত্রী দেবযানী একটি পোস্ট করে জানান, তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। ঋষি নিজের দোষ ঢাকতেই এসব কথা বলছেন।
এরই মাঝে আচমকাই ধর্ম, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে পোস্ট করেন ঋষি। সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "একজন মানুষ ভীষণ ভাবে নিজ ধর্মে বিশ্বাস করে। সেই সঙ্গে মানুষটি সব ধর্মকেই খুব শ্রদ্ধা করে। মানুষটি যদি অন্য কোনও ধর্মের কিছু পবিত্র বাণী ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়েন, তবে তাঁকে কি মানসিক রোগী বলা উচিত? যাঁরা বলেন তাঁরা কি নিজেরা আদৌ মানসিক ভাবে সুস্থ? না কি অন্য ধর্মের পবিত্র বাণী পড়া বা জানা পাপ? আর কেউ যদি পড়ে সে কি মানসিক ভাবে অসুস্থ? তোমাদের কী মনে হয়? সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য রইল আমার অশেষ শ্রদ্ধা।"