সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুর দিকে ইতিহাস তৈরির যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি করেও ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, টোরি ভোটারদের নিজের দিকে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ চ্যান্সেলর। কিন্তু এতদসত্ত্বেও আশা ছাড়ছেন না ঋষি। তাঁর প্রচার অভিযান ‘রেডি ফর ঋষি’র শেষে ৪২ বছরের নেতা টুইটারে একটি পোস্টে লেখেন, ‘সোমবার দেখা হবে।’ যা থেকে পরিষ্কার, এখনও ব্রিটেনের মসনদে বসার স্বপ্নকে ত্যাগ করতে রাজি নন তিনি।
ঋষি লিখেছেন, ‘ভোটাভুটি শেষ। আমার সমস্ত সহকর্মী, প্রচার দল ও অবশ্যই যাঁরা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন, আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন সেই সব সদস্যকে ধন্যবাদ। সোমবার দেখা হবে।’ কিন্তু সত্য়িই কি সম্ভাবনা রয়েছে সুনকের? সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ এমপিদের পছন্দের প্রার্থী সুনাক। তবে দলের প্রায় দুই লক্ষ টোরি ভোটারের অধিকাংশই ট্রাসের দিকে ঝুঁকে। প্রায় দু’মাস ধরে চলা নির্বাচনে দুই প্রতিপক্ষই দেশজুড়ে প্রচার করেছেন। ভোটারদের মন পেতে টেলিভিশনে তিনটি বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন। ভোটদান শেষ হওয়ার পরেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন কেউই। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, বিরাট ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছেন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাসই। তবু ঋষি এখনও যে হাল ছাড়ছেন না, তা তাঁর শরীরী ভাষা থেকে স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
আগামিকাল, সোমবার নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তারপরের দিনই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। সেদিন বিদায়ী ভাষণও দেবেন বরিস। আর তারপরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর অভিষেক হবে রানির উপস্থিতিতে।
উল্লেখ্য, পার্টিগেট কেলেঙ্কারির পর গত জুলাই মাসে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। তারপর থেকেই গোটা ব্রিটেন তাকিয়ে নয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋষি যতই সদর্থক মনোভাব নিয়ে চলুন না কেন, তাঁর আশা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।