সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পর শ্যামবাজারের প্রতিবাদী অবস্থানে গিয়ে 'গো ব্যাক' স্লোগান শুনতে হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছিলেন, 'এটা তাঁর লোকদেখানো প্রতিবাদ!' ট্রোলড হতে হয়েছিল প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে শঙ্খে ফুঁ দেওয়া নিয়েও। মাস দুয়েক ধরেই নানা কারণে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এবার রেড রোডের পুজো কার্নিভালে নৃত্য পরিবেশন করেও কটাক্ষের শিকার হতে হল। সেই প্রেক্ষিতেই এবার সোজাসাপটা জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
পুজো কার্নিভালে যোগ দেওয়া কিংবা নাচ করা নিয়ে যেভাবে দিনরাত ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে ঋতুপর্ণাকে। সেপ্রসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, "আমাকে কেন শুধু, কোনও মানুষকেই ছোট করে কিছু পাওয়া যাবে না। নিজের বিবেকের কাছে আমি আকাশের মতো পরিষ্কার। এই অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা পুলিশ বডিগার্ড লাইন আবাসিক দুর্গাপুজোর তরফে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। লালবাজারের পুলিশ দপ্তর থেকেও আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই জন্যই অনুষ্ঠান করেছি। রাজ্য প্রশাসনকে আমাদের পাশে দরকার। তাই তাঁদের সমর্থন করতেই নাচ করেছিলাম। তাছাড়া একজন শিল্পী হিসেবে আমার শিল্পসত্তাকে ছাড়া বাঁচব কী করে? আমার বিবেক বা বোধ কোনওটাই কারও কাছে জমা রাখিনি। এবছর অনেক পুজোর উদ্বোধন বাতিল করেছি। পুরস্কারও নিতে যাইনি। তবে দু-একটা কাজের দিকে আমার নাচের দলও তাকিয়ে তাকে।ওদেরও সংসারের খরচ বহন করতে হবে। তাই গিয়েছি।"
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কথায়, "তিলোত্তমার ঘটনায় আমারও কষ্ট হয়েছে। যেসব ডাক্তাররা অনশনরত, তাঁদের জন্যেও আমার চিন্তা হচ্ছে। তবে ভিতরের কষ্ট আর প্রতিবাদ নিজের মধ্যেই রাখতে চাই। সকলকে চিৎকার করে বা লিখে জানাতে হবে কেন? কিছু মানুষ সব কিছুকেই খারাপ চোখে দেখেন আর বিরূপ মন্তব্য করেন। তাঁদের কোনওরকম সুযোগ দিয়ে নিজে যেচে অপমানিত হতে চাই না। আত্মসম্মান এবং মর্যাদা আমার জন্মগত অধিকার। ছোটবেলা থেকে মা-বাবার সংস্কারে অন্য মানুষের জন্য ভালো ভাবতে শিখেছি। অন্যের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে শিখেছি। অনেক বছর ধরে পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের ফলে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সেই একইভাবে এখনও পরিশ্রম করে চলেছি। আর কাজ করলে তো কথা শুনতেই হবে। তবে আমি নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি।" শেষে তিলোত্তমা এবং ডাক্তারদের জন্য সুবিচারও প্রার্থনা করেছেন তিনি সিবিআই, শীর্ষ আদালত থেকে সরকারের কাছে।