নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অটো ও সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে আটজন মহিলা শ্রমিকের। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অটোর চালকও। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছে গিয়েছে রামপুরহাটের দমকল বাহিনীও।
বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে তেলদা মোড়ের কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এদিন সন্ধেয় দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, অটোটি ছিল পারকান্দি এলাকার। এই অটোতেই আটজন মহিলা শ্রমিক ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন মল্লারপুরের গৌড় বাজারে। কাজ মিটিয়ে প্রতিদিন সন্ধের মতোই এদিনও বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না।
[আরও পড়ুন: ‘কেমন আছে অর্পিতা? সঠিক পথে আইনি লড়াই চলছে তো?’, জেলে বসেই খোঁজ নিলেন ‘স্যর’ পার্থ]
এদিকে সিউড়ির দিক থেকে আসছিল একটি সরকারি বাস। সেই বাসটিই অটোটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। দুমড়েমুছড়ে যায় অটোটি। ছ্য়াঁচড়াতে ছ্য়াঁচড়াতে অনেকখানি দূরে গিয়ে পড়েন শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অটোচালক এবং ওই আট মহিলা শ্রমিকের। তাঁরা প্রত্যেকেই আদিবাসী। মৃত চালকের নাম সীতারাম হেব্রম।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধন সিং জানান, তিনি কাছের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করেন। মহরমের দিন ছুটি থাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। তাই বিকট একটি আওয়াজ তাঁদের কানে পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাঁরা দেখেন, অটোয় থাকা প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। এই ভয়ানক দুর্ঘটনার পরই সরকারি বাসের চালক এবং সমস্ত যাত্রী সেখান থেকে চম্পট দেন। তাঁদেরকে দেখতে পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুর খবর শুনেই পারকান্দি গ্রাম থেকে অনেকেই ছুটে আসেন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতদের পরিবারে। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, “ভুল রাস্তায় বাসটি চলে আসায় এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। আমরা বাসটির ফরেনসিক তদন্ত করাব।” এদিকে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন।