সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পূর্ণিমার কোটাল আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভয়াবহ ধস গঙ্গাসাগরে। কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। দিনদশেক আগেই ধসের কবলে পড়ে গঙ্গাসাগর ২ নম্বর থেকে ৫ নম্বর যাওয়ার রাস্তা। ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্ত দপ্তরের কংক্রিটের প্রায় ১০ ফুট রাস্তা বিলীন হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে। রবিবার কোটালের জলে ফের ভাসে ওই এলাকা। ফের ধসের কবলে পড়ল ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্তদপ্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট কংক্রিটের রাস্তা।
উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ভেঙেচুরে একাকার ট্যাপ কল, পানীয় জলের পাইপ। ঝুঁকি কমাতে সাগরমেলার সময় ব্যবহৃত একটি বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফর্মার ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী দোকানঘর গুলিকেও। দিনভর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয় ধস কবলিত ওই এলাকার আশপাশে যাতে কোন পুন্যার্থী সমুদ্রস্নানে না নামেন তার উপর। স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান হরিপদ মণ্ডল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এখনই গঙ্গাসাগরকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য না করলে সমূহ বিপদ।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বাইডেন, ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হবে কে?]
তাঁর আশঙ্কা, আগের তিনটি মন্দিরের মতো বর্তমানের কপিলমুনির মন্দিরও ভাঙনে অচিরেই বিলীন হয়ে যেতে পারে সমুদ্রগর্ভে। কেন্দ্রের অর্থসাহায্য ছাড়া রাজ্য সরকারের একার পক্ষে এই ভয়াবহ ভাঙন রোখা অসম্ভব। সাগরের বিডিও কানহাইয়া কুমার রায় বলেন, "৪ নম্বর রাস্তায় বেশ বড়সড় ভাঙনই হয়েছে। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি সেচ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরে জানানো হয়েছে।" দুর্ঘটনা রুখতে সমুদ্র সৈকতে চলছে মাইকিং। সতর্ক করা হয়েছে অস্থায়ী দোকানদার ও পুণ্যার্থীদের।