দেবব্রত দাস, বারুইপুর: স্কুল যাওয়ার সময় রাস্তা আটকে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিত প্রতিবেশী যুবক। কখনও কখনও রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকত সে। এই কুকীর্তির প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী যুবকের হাতে আক্রান্ত হলেন তিন মহিলা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং (Canning) থানার তালদি এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া তালদি এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পথে ওই পড়ুয়ার রাস্তা আটকাত প্রতিবেশী যুবক হানিফ সরদার। লাগাতার কুপ্রস্তাব দিত হানিফ। কখনও কখনও সে রাস্তাও আটকে রাখত বলেও অভিযোগ করেছে স্কুলছাত্রীর মা। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলছিল। মঙ্গলবার বিষয়টা চরমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়ে তৃণমূল, লড়বে চার উপনির্বাচনেও]
এদিন ছাত্রী, তাঁর মা প্রতিবেশী যুবকের বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে যান। অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় যুবক। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের মারধর করে। মা-মেয়েকে বাঁচাতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। গুরুতর জখম হন ৩ মহিলা। উদ্ধার করে তাঁদের তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তাঁরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহতদের পরিবার। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বলেন, “আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এদিন ওই ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে আমরা সেটা বারন করতে গিয়েছিলাম। আর তখনই আমাদের উপর মারধর শুরু করে।”