সুকুমার সরকার, ঢাকা: এখনও কাটেনি মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের রেশ। তার মাঝেই বাংলাদেশের (Bangladesh) শরণার্থী শিবিরে ফের হামলা চালাল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছেন ক্যাম্পের দুই বাসিন্দা। এই ঘটনায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঢাকা আদালতের]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ময়ানমারের জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা)। সন্ত্রাসবাদীদের হামলা ও গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মহম্মদ হোসেন ও নুর বশর। পুলিশ সূত্রে খবর, কুতুপালং (ক্যাম্প-২) শিবিরের সি ব্লকে এই ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টা নগদ গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে শিবিরের মধ্যেই এমএসএফ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কী কারণে আরসার সন্ত্রাসীরা দুই রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করেছে, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আধিকারিকরা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।
শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারআ অবশ্য জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পের ভেতরে আরসার তৎপরতা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন এই দুই রোহিঙ্গা। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই মাসে বেশ কয়েক আরসা সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। এই কারণে আরসা অনেক রোহিঙ্গাকে নিশানা করেছে।
উল্লেখ্য, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। তাঁকে গত বছর হত্যা করএ রোহিঙ্গা জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়।