সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শিবিরে ক্রমে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। বিগত দিনে একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা খুন ও অপহরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে কার্যত বিপাকে পড়েছে ঢাকা। এহেন পরিস্থিতিতে এবার স্থানীয় এক ব্যক্তিকে অপহরণ করল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীরা।
গত রবিবার লেদার পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়াতে গেলে কৃষক আলি হোসেনকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীরা। তাঁকে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আলি হোসেনের বাড়ি লেদার মৌলভীপাড়ায়। অপহৃতের মুক্্তির বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এরপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ। অপহরণের খবর পুলিশকে জানানো হলে আলিকে হত্যার হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন কক্সবাজারের টেকনাফে গত ৬ মাসে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে অন্তত ৬২ জনকে। মূলত টেকনাফের তিনটি ইউনিয়ন হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়ায় এসব অপহরণ কাণ্ড ঘটছে। এই সমস্ত এলাকায় গত এক বছরে মাদক পাচারের ঘটনা কয়েক গুণ বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, ইয়াবা ও আইস (ক্রিস্টাল মেথ) মাদক পাচারের কাণ্ড বাড়ার সঙ্গে এসব অপহরণের যোগাযোগ রয়েছে। একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী এসব অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
[আরও পড়ুন: এখনও তাজা পাক সেনার নৃশংস তাণ্ডব, এবার ‘৭১-এর সেই ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ!]
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা। কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদের মাঝি বলা হয়। মূলত, এদেরই নিশানা করে জঙ্গিরা। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে, গত এক বছরে কমপক্ষে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পুলিশি অভিযান চালিয়েও তেমন কোনও সুরাহা মিলছে না। এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই খুনোখুনি, লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে।