বিধান নস্কর, বিধাননগর: চিকিৎসকের বাড়ির শৌচালয় থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ। শৌচালয়ের মধ্যে জলের ড্রামে দেহটি রাখা ছিল। আর ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে আটকানো। মঙ্গলবার দুপুরে এই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুর বাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগুইহাটি থানার ও বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। কার দেহ, সেখানে কীভাবে দেহ এল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশের তরফেও কিছুই জানানো হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জগৎপুর বাজারের সংলগ্ন চিকিৎসক গোপাল মুখোপাধ্যায় বাড়িটি পুরো ভাড়া দেওয়া ছিল। এদিন সেই বাড়ির তিনতলার ঘরের শৌচালয় থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। যদিও মহিলার নাম পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বাড়ির মালিক ডাক্তার গোপাল মুখোপাধ্যায় বাড়ি পরিষ্কার করতে এসে দেখেন, বাথরুমের মধ্যে একটি ড্রাম রয়েছে। যার ঢাকনা সিমেন্ট দিয়ে আটকানো। সঙ্গে পচা গন্ধ পেয়েছিলেন তিনি। এর পর বাড়ির মালিক বাগুইআটি থানায় যান। পুলিশ এসে কাটার দিয়ে ড্রামের মুখ কাটে। দেখা যায়, ড্রামের মধ্যে মৃতদেহ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: জয়নগর খুনে ‘দুই মাথা’র হদিশ, রহস্য ঘনীভূত ‘নাসির-বড় ভাই’কে ঘিরে]
পুলিশ সূত্রে খবর, ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে আটকানো ছিল। শুধু তাই নয়, ড্রামের মধ্যে মহিলার মৃতদেহ রেখে তার মধ্যে সিমেন্ট গুলে ঢেলে দেওয়া হয়। যাতে পচা গন্ধ বাইরে না বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। এই মৃতদেহটি কার সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ নিখোঁজ আছে কি না সেটাও জানার চেষ্টা করছে। পুলিশের দাবি খুন করে দেহ লোপাটের জন্য এই কাজ করা হয়েছে। বাড়ির মালিক কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারা এই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল।কাদের আসা যাওয়া ছিল। কতদিন আগে থেকে ঘর বন্ধ ছিল। ঘরটির চাবি আর কারওর কাছে ছিল কি না জানার চেষ্টা করা হবে।