সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: ইডির হাত থেকে রেহাই মিললেও, সিবিআইয়ের জালে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেজরিকে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হয়। মামলার শুনানিতে তাঁকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
গত ২৯ জুলাই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে যে কেজরির নির্দেশেই দলের নেতাদের কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন মদের ব্যবসায়ী। বিনিময়ে ব্যবসা বাড়াতে নানা সুবিধা নিয়েছিলেন। পাশাপাশি গত সোমবার দিল্লি হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি পুরোপুরি বৈধ। একইসঙ্গে সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, নজির গড়ে নাবালককে যাবজ্জীবন সাজা আদালতের]
এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার তিহাড় জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হল কেজরিকে। মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, কেজরিওয়াল অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে জামিনে মুক্তি দিলে উনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। উনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বহু সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের তরফেও জানানো হয়, গ্রেপ্তারির পর সিবিআইয়ের তরফে যে সব তথ্য প্রমাণ জমা করা হয়েছে তার পর এই গ্রেপ্তারিকে আর অবৈধ বলা যায় না। কেজরিওয়াল কোনওভাবেই সাধারণ নাগরিক নন, বরং তিনি একজন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান। এর পরই আদালতের তরফে কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: জম্মু সামলাবে দেশের প্রাচীন আধাসামরিক বাহিনী! জঙ্গি দমনে নয়া কৌশল কেন্দ্রের]
গত ২১ মার্চ ইডির হাতে আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের মাঝে তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হন। তবে ভোট শেষেই তাঁকে আবার জেলে ফিরে যেতে হয়। এরই মধ্যে ইডির মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছিলেন। তবে তার আগেই জেলে গিয়ে কেজরিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। পালটা সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারিকে 'বেআইনি' বলে অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করা হয়, হেফাজতে থাকাকালীন এইভাবে কোনও তদন্তকারী সংস্থা একই মামলায় একই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না বলে কেজরিওয়ালের দাবি। যদিও শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি কেজরির দাবি। এদিন ফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল কেজরির।