সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁদার জন্য টাকা নেন রাজস্থানের ‘রুদালী’ সম্প্রদায়। সে তাদের পেশা। কিন্তু না কাঁদার জন্যও কাউকে অর্থ দিতে হতে পারে? এমনটা শোনা যায়নি কোনওকালে। যে কাণ্ড ঘটল এবার। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায় (Internet)। রীতিমতো দিন ভিত্তিক ‘দাম’ নির্ধারণ হয়েছে। ১ দিন না কাঁদলে মিলবে ১০ টাকা, গোটা সপ্তাহে না কাঁদলে দেওয়া হবে ১০০ টাকা। লিখিত চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু এমন কাণ্ড কাদের?
এই মজার কাণ্ড ঘটিয়েছে এক বাবা ও তাঁর পুঁচকে ছেলে। বাবা ও ছয় বছরের শিশু আবিরের সেই হাতে লেখা চুক্তিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল। আসলে ছোট ছেলে যেমনটা করে থাকে, খাওয়া-পড়াশুনো নিয়ে হাজারও ঝামেলা করে। এইসঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি-কান্না তো আছেই। পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই ছেলের সঙ্গে অভিনব চুক্তি করেছেন এই বাবা। কী কী আছে এই চুক্তিতে?
[আরও পড়ুন: কেন শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান? রইল সম্ভাব্য পাঁচ কারণ]
শিশুর দৈনন্দিন কাজের সবকিছুই রয়েছে চুক্তিতে, যেটি সম্প্রতি বাবা পোস্ট করেন তাঁর টুইটারে (Twitter) অ্যাকাউন্টে। দেখা যাচ্ছে সকালের ঘুম ভাঙা নিয়েও শর্ত চাপিয়েছে আবির। ফলে আলার্ম বাজার পরেও ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে তাকে, বিছানা ছাড়ার জন্যে। ওই চুক্তিপত্রে রয়েছে শিশুটির দুধ খাওয়া, দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার সময়, খেলার সময়, হোম ওয়ার্কের সময়, এমন সবকিছুই। লিখিত চুক্তিতে এও বলা হয়েছে, শিশুটি সব কাজ ঠিক মতো পালন করলে পাবে আর্থিক পুরস্কার। কোন কোন কাজে মিলবে পুরিস্কার?
[আরও পড়ুন: মন্ত্রী থেকে IAS-IPS, সবাইকে দিতে হবে সম্পত্তির হিসেব, দুর্নীতিতে ‘বুলডোজার’ যোগীর]
ছেলে যদি একদিনে একবারও না কাঁদে তবে ১০ টাকা দেবে বাবা। যদি একটা গোটা সপ্তাহে কান্না, চিৎকার-চেঁচামেচি-মারামারি না করে সে, তবে ১০০ টাকা পুরস্কার মিলবে। বাবা আরও একটি টুইট করে জানিয়েছেন, দুধ খাওয়ার সময়, দুপুরে ও রাতের খাবার খাওয়ার সময় ২০ মিনিট করে টিভি দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে আবিরকে। বাবা আরও জানিয়েছেন, এই চুক্তি আসলে দ্বিতীয়বার করা হল। যেহেতু আগের চুক্তি ঠিক মতো পালন না করেও স্টার মার্ক চেয়ে বসেছিল ছয় বছরের শিশু।