সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে মায়ানমারে (Myanmar)। দেশের সেনার হাতে আটক হয়েছেন স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ (Aung San Suu Kyi) শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে। আটক করা হয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলি। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর পক্ষে।
মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আজ ভোরে আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী। সেনার এহেন আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বিদেশমন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ”মায়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ভারত সব সময়ই মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর সমর্থনে অবিচল রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল থাকবে। আমরা গোটা পরিস্থিতির দিকে গভীর ভাবে লক্ষ রাখছি।”
[আরও পড়ুন: অস্বস্তি বাড়ল ট্রাম্পের! প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের হয়ে মামলা লড়তে নারাজ আইনজীবীরা]
মায়ানমারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকাও। ওয়াশিংটনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে এবং দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে তারা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি তাঁর বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন, মায়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলকে পরিবর্তিত করার কোনও রকম প্রয়াসকে তারা মেনে নেবে না।
উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরছে আং সান সু কি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। প্রসঙ্গত, সোমবার অর্থাৎ আজ থেকেই দেশটিতে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।