সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) হাত ধরাধরি করে কাজ করে এসেছে আমেরিকা (America) এবং রাশিয়া (Russia)। কিন্তু বর্তমানে দুই মহাশক্তির সম্পর্ক তলানিতে ঠেকতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে রাশিয়ার। এই পরিস্থিতিতে স্পেস স্টেশন থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছে পুতিনের দেশ। আমেরিকার সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করতে আর চাইছে না রাশিয়া। তাই চলতি দশকেই মহাকাশে নিজেদের আলাদা স্পেস স্টেশন স্থাপনের কথা জানাল।
১৯৯৮ সাল থেকে আমেরিকা, রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ স্পেস স্টেশনে নানা গবেষণা চালায়। কিন্তু এবার রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস-এর প্রধান ডিমিত্রি রোগোজিন বলেন, “যদি ২০৩০ সালে আমরা মহাকাশের কক্ষপথে স্পেস স্টেশনটি স্থাপন করতে পারি, তবে তা বিশাল সাফল্য হবে।” রসকসমসের এই পরিকল্পনায় ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
[আরও পড়ুন: আকালের মধ্যেই হরিয়ানার হাসপাতাল থেকে চুরি গেল ১৭৭০ ডোজ ভ্যাকসিন, অব্যবস্থা হরিয়ানায়]
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বাকি সহযোগীদের রাশিয়া ২০২৫ সালে সরকারি ভাবে জানিয়ে দেবে যে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওই বছরের মধ্যেই স্পেস স্টেশন তৈরি করে ফেলতে চাইছে। তার পর তা মহাকাশে স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
এখন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যে ভাবে কাজ হয়, রাশিয়ার স্পেস স্টেশন তার থেকে আলাদা হবে। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর রোবট দিয়ে বেশির ভাগ কাজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে একজন মানুষ অবশ্যই থাকবেন তবে কেবল পর্যবেক্ষক হিসাবে। তবে সব সময় পর্যবেক্ষকও থাকবে না। কারণ রাশিয়ার স্পেস স্টেশন অনেকটা সময় উচ্চ বিকিরণ যুক্ত এলাকা দিয়ে যাবে। তাই সেই সময় যা পরীক্ষানীরিক্ষা তা কেবল রোবট দিয়েই করা হবে।
পৃথিবী থেকে রাশিয়ার এই স্পেস স্টেশন প্রায় ২৫০ মাইল উপরে অবস্থান করবে। তবে রাশিয়ার ব্যক্তিগত স্পেস স্টেশন হলেও অন্য কোনও দেশের মহাকাশচারীরাও সেখানে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। রাশিয়ার তরফে আরও জানা গিয়েছে এটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।