সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভোটসন্ত্রাস ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল রাশিয়া। হাসিনা সরকারকে সমর্থন জানিয়ে মস্কোর বক্তব্য, সার্বভৌম দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাক গলাচ্ছে আমেরিকা। এটা কাম্য নয়। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি পৌঁছেছেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বলে রাখা ভালো, নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকার। বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে লাগাতার। সেই বিষয়ে মুখ খোলে আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আগেই ওয়াশিংটন কড়া হুমকি দিয়েছে, হিংসায় অভিযুক্তদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ওয়াশিংটনের এই ভিসা নীতিকেই আওয়ামি সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে হাসিনা সরকারের উষ্ণ সম্পর্ক মোটেও সুনজরে দেখছে না বাইডেন প্রশাসন। তাই কলকাঠি নেড়ে আওয়ামি সরকারকে চাপে রাখছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ক্ষোভ থাকলেও ভরসা হাসিনাতেই, ভোটযুদ্ধে উন্নয়নই হাতিয়ার মুজিবকন্যার]
এহেন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের (Bangladesh) পাশে দাঁড়াল মুক্তিযুদ্ধের পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়া। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন বলে মন্তব্য রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার। রুশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে জাখারোভা লেখেন, ‘নির্বাচন স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে চাওয়ার আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনা করতে বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপ।’
এদিকে, ভোটমুখী বাংলাদেশে চড়ছে পারদ। সক্রিয় হয়েছে জামাতের মতো ভারত বিরোধী শক্তিগুলো। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র অবরোধ-হরতালে হিংসা ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। আর গোটা ঘটনাবলির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। কারণ, আওয়ামি সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাসবাদীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা।