সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুন্ধুমার রাষ্ট্রসংঘে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার (Russia) মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই বাদানুবাদে জড়ালেন রুশ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব আনে আমেরিকা। এরপরই এই বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
এদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড দাবি করেন, কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেন। তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রুশ রাষ্ট্রদূত। উলটে তিনি দাবি করেন, আমেরিকা এইভাবে অকারণ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যায় নাক গলাচ্ছে। অভিযোগ, পালটা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়াবহ ফল ভুগতে হবে’, ইউক্রেন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়াকে হুমকি বাইডেনের]
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে আগ্রাসন হ্রাস করতে রাশিয়াকে আরজি জানিয়েছে আমেরিকা। তার জবাবে লিখিত উত্তরও দিয়েছে রাশিয়া। তবে মস্কো ঠিক কী বলেছে তা খোলসা করেনি ওয়াশিংটন। বরং জানিয়েছে, যেহেতু রাশিয়া গোপনে এই জবাব দিয়েছে, তাই এই নিয়ে কিছু বলাটা নীতিবিরুদ্ধ হবে।
এদিকে মাত্র কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেন্সকিকে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, এত বারণ করা সত্ত্বেও যদি ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা হয়, তাহলে রাশিয়াকে ভয়ংকর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক সংহতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে দুয়ারে প্রহার’, বিতর্কিত মন্তব্য উদয়ন গুহর]
দিন কয়েক আগেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়ে জো বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে তার ফল ভাল হবে না। মস্কো পড়শি দেশে আক্রমণ করলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। তারপর মস্কোর উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন।