সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত-রাশিয়ার মধ্যে বরাবরই কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। বিশেষত অস্ত্র বাণিজ্যে রাশিয়ার অন্যতম বড় ক্রেতা ভারত (India)। মোদি জমানায় সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। এমনকী সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে মানবিক সাহায্য করলেও রাষ্ট্রসংঘে ‘বন্ধু’ রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত ছিল নয়াদিল্লি। সবমিলিয়ে, কূটনীতি হোক বা রাজনীতি, মস্কো-দিল্লির সম্পর্কের কোনওভাবেই অবনতি যাতে না হয়, সেদিক থেকে সতর্ক দু দেশই। আবার প্রতিবেশী বাংলাদেশেরও বরাবরের মিত্র রাশিয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বাংলাদেশকে বরাবর সাহায্য করে এসেছে পুতিনের দেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত ও বাংলাদেশকে (Bangladesh) একই দৃষ্টিতে দেখে না রাশিয়া। দুই মিত্র দেশের দুরকমের গুরুত্ব রয়েছে মস্কোর কাছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তা স্পষ্ট করে দিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কি ভারতের নীতি অনুসরণ করে রাশিয়া? বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে রুশ রাষ্ট্রদূতের কাছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি বলেন, ”আমরা আমাদের নীতি অনুসরণ করি এবং এটি আমাদের ডকট্রিনে লিপিবদ্ধ আছে। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। আমরা এখানে আমাদের নীতি অনুসরণ করি। আমরা বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখি না।”
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
এদিকে, জার্মানি সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেখা করেছিলেন ইউক্রেন (Ukrain) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়। তবে তা নিয়ে রাশিয়া চিন্তিত নয় বলে বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন মান্টিটস্কি। তাঁর কথায়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকটি জেলেনস্কির ‘ভণ্ডামি’ ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে পশ্চিমী দুনিয়ার অবস্থানের সমালোচনা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল যুদ্ধে (Israel-Palestine War) পশ্চিমী দুনিয়া দ্বিচারিতা করছে। তারা ইউক্রেন ইস্যুতে অনেক সোচ্চার, তবে গাজার গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ।