সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহার চলাকালীন রাশিয়ার (Russia) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বুধবার, মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আলোচনা হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: বিপ্লবের ‘বিজেপির বিস্তার’ মন্তব্যে আপত্তি জানাল নেপাল, কড়া প্রতিক্রিয়া শ্রীলঙ্কারও]
এদিন রুশ ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ইগর মরগুলভের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শ্রিংলা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেমন–রাষ্ট্রসংঘ, জি-20, ব্রিকস, এসসিও, আরআইসি ও ইএইইউ-তে একসঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্যে সমন্বয় রক্ষায় জোর দিয়েছে দুই দেশ। এছাড়া, কৌশলগত বিষয়ে পরস্পরের সহযোগীতা করা নিয়েও আলোচনা হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গড়পরতা কূটনীতির আড়ালে ভারতের বিদেশ সচিবের মস্কো সফর অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’। কারণ, প্রায় ১০ মাস ধরে চিন ও ভারতের সেনা মুখোমুখি থাকার পর লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরার নেপথ্যে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সদ্য পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন। ইতিমধ্যে ট্যাংক, কামান-সহ জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্যাংগংয়ের ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে লালফৌজ বলে খবর। বেজিং ও নয়াদিল্লির উপর মস্কোর সমান প্রভাবের দরুনই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এর মাধ্যমে দুই বন্ধু দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত বলেই মত বিশ্লেষকদের। এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে চিনও। সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’ সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগরের উত্তরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ইরান (Iran) ও রাশিয়া। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইরান-রাশিয়া মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট ২০২১’। এই বিষয়ে ইরানি নৌসেনার মুখপাত্র গোলাম রেজা তাহানি জানান, রুশ ও ইরানি রণতরীগুলির সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সংঘাত মেটাতে রাশিয়ার ভূমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।