সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত রাশিয়া (Russia)। ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল রণডঙ্কা। সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। কিন্তু বুধবারের সকালে মিলল স্বস্তি। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরানো শুরু হয়েছে রুশ সেনাদের। ইতিমধ্যেই সেনার একাংশকে সীমান্তরেখা থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি মিস! মেসির লজ্জার রেকর্ড গড়ার ১ মিনিট পরই গোল রোনাল্ডোর]
ইতিমধ্যেই মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ সেনা প্রদেশে কৌশলগত মহড়া সম্পূর্ণ হওয়ার ফের সামরিক ঘাঁটিতেই ফিরে যাচ্ছে রুশ সেনা। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সরকারি টিভিতেও দেখা গিয়েছে, রাশিয়া অধিকৃত পেনিনসুলার দিকে রুশ সেনার একাংশ হেঁটে যাচ্ছে। এই দৃশ্য থেকে পরিষ্কার, পিছু হটছে রুশ সেনা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তিতে বিশ্ব।
[আরও পড়ুন: চলতে চলতে হঠাৎই ব্রেক কষেছিল সামনের ট্রাক, দীপ সিধুর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য]
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-রাশিয়ার মতো যুযুধান দু’পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিতে নেমে পড়েছিল। এক্ষেত্রে রাশিয়ার তৎপরতাই ছিল বেশি। ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন হয়েছিল বহু রুশ সেনা। আমেরিকা অবশ্য এখনই সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে বলে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সামান্য চিহ্ন দেখতে পেলেই যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা। চরম মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে।
সেক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল, মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে পশ্চিমী দুনিয়া। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। সেই কারণেই কি পিছু হটল রাশিয়া? তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহালর মহলের একাংশ।
এদিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সতর্ক ছিল ভারতও। মঙ্গলবারই কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, যেসব পড়ুয়ারা কিয়েভে রয়েছেন, তাঁরা অবিলম্বে দেশে ফিরে আসুক। আর যাঁরা এই মুহূর্তে ফিরতে পারছেন না, তাঁরা যেন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।