সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩৬ পর্যন্ত রাশিয়ার (Russia) মসনদে থাকার পথ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। সোমবারই ক্রেমলিনে নিজের অফিসে একটি বিলে স্বাক্ষর করলেন তিনি। যার ফলে আগামী ১৫ বছর দেশের শীর্ষপদে তাঁর থাকা একপ্রকার নিশ্চিত হল। ২০২৪ সালে তাঁর বর্তমান শাসনকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন বিলের ফলে পরবর্তী দু’টি ৬ বছরের মেয়াদও তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। জিততে পারলে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত।
এই মুহূর্তে পুতিনের বয়স ৬৮। ৮৩ বছর পর্যন্ত তাঁর মসনদে থাকার পথ নিশ্চিত করতে গত বছর একটি গণভোট নেওয়া হয়। প্রবল বিরোধিতার মধ্যে হওয়া সেই ভোটে বড় ব্যবধানে জেতার দাবি করেছিলেন পুতিন। পরে সেই প্রস্তাব রাশিয়ার সংসদের মাধ্যমে এবার পৌঁছে গেল প্রেসিডেন্টের টেবিলে। সেটিতে স্বাক্ষর করে নিজেরই ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ বাড়ানোয় সম্মতি দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রাফালে চুক্তির মধ্যস্থতাকারীকে কোটি-কোটি টাকা উপহার দাসল্টের! দাবি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের]
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকেও (Dmitry Medvedev) এই বিলে নতুন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁকেও আরও দু’বার নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা এই নয়া আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তাদের দাবি, আজীবন ক্ষমতাসীন থেকে যেতে চান পুতিন। তাই ছলে বলে কৌশলে সংবিধানে বদল ঘটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এসবই স্বৈরাচারী মানসিকতার লক্ষণ।
যদিও পুতিন বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। এমনকী, তিনি নিজেই সংশয় প্রকাশ করেছেন, পরের বার তিনি আদৌ নির্বাচনে লড়বেন কিনা। জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের পরে ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। প্রসঙ্গত, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকলে সবথেকে বেশি সময় সেদেশের মসনদে থাকার রেকর্ড গড়বেন পুতিন। ভেঙে যাবে ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট স্তালিনের রেকর্ড।