সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তান যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর(S Jaishankar)। চলতি মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। পাকিস্তানের পৌরোহিত্য এই সামিটে ভারতের যোগদান নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। অবশেষে শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জয়শংকরের পাকিস্তান সফরের খবর নিশ্চিত করে।
ভারত এবং পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সদস্য। এসসিও দেশগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। এই বছর ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে এই সম্মেলন হবে। প্রথামাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরই আমন্ত্রণ জানান। গত আগস্ট মাসে আমন্ত্রণপত্র আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। কিন্তু দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, মোদি কি এই সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান যাবেন? নমো যে যাবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল বিশ্লেষকদের কাছে।
অবশেষে আজ শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, "১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এসসিও সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।" বলে রাখা ভালো, বিদেশমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসংঘ থেকে শুরু করে নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। ফলে তাঁর এই সফরের মধ্যে দিয়ে কি এবার ইসলামাবাদ-দিল্লি সম্পর্কের বরফ গলবে? উঠছে এমনই প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আমেরিকার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। তিনি দাবি করেন, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে ‘একতরফা’ ও ‘বেআইনি’ কার্যকলাপ চালায়। উদাহরণ হিসেবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গও তোলেন। শাহবাজের এই মন্তব্যের পালটা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘে জয়শংকর বলেন, পাকিস্তান ‘পাপ’ করার ফল ভুগছে। সেই জন্যই আন্তর্জাতিক দরবারে পিছিয়ে পড়েছে তারা। পাকিস্তানের জিডিপি নির্ধারণ করা হয় তাদের উগ্রপন্থা আর সন্ত্রাসবাদ দিয়ে।
কিন্তু কূটনীতির কারবারিদের ধারণা, এবার হয়তো দুদেশের মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত হবে। কারণ বহুদিন ধরেই ইসলামাবাদের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক আলোচনা বন্ধ রেখেছে নয়াদিল্লি। বিগত কয়েক দশক ধরে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। লাগাতার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে উপত্যকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। যার কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লিও।