বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কেন্দ্রে আট বছর ক্ষমতার বাইরে। দুই রাজ্যে টিমটিম করে চলছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক সংকটে কংগ্রেস (Congress)। আর্থিক সংকট কাটানোর পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে সিপিএমের পথে কংগ্রেস। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও রাজস্থানের (Rajasthan) ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চায় শতাব্দীপ্রাচীন দল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, নাকি নতুন কোনও মুখ সামনে রেখে ভোটের ময়দানে যাওয়া হবে আগামী মাসে সেই সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হবে। সে ক্ষেত্রে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী ‘মুখ’ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
একের পর এক রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি। হাতছাড়া হয়েছে পাঞ্জাব। হারতে হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও মেঘালয়ে। উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) মুখ করে লড়লেও মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ দল। ব্যর্থতার জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছে এআইসিসি। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের আলোচনায় ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসাবে অর্থিক সংকটকে দায়ী করা হয়েছে। অতীতে কোনও রাজ্যে নির্বাচন হলে এআইসিসির তরফে যেভাবে আর্থিক সাহায্য করা হতো এখন তার সিকি ভাগও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী, যে রাজ্যে দল ক্ষমতায় নেই সেখানেও প্রদেশ কংগ্রেস চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পাটুলি থেকে উদ্ধার বিদিশার ‘বান্ধবী’ মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য]
এমনভাবে চললে চলতি বছরে রাজস্থান, হিমাচল, গুজরাতের ভোটেও ভরাডুবি হবে বলেই ধারণা এআইসিসির একাংশের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বামেদের দিকে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বামপন্থী পার্টির মতো সর্বক্ষণের কর্মী নয়, বরং রোজগেরে নেতাদের কাছ থেকে মাসিক লেভি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এআইসিসির এক শীর্ষনেতা। তিনি জানান, দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আয়কর জমা দিতে হয়। সেই ফাইল এআইসিসি দফতরে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আয় দেখে তবে লেভির পরিমাণ ঠিক করা হবে।
অন্যদিকে, রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে বিষয়টি নিয়ে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটদের বিস্তর আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে গত ভোটেই গেহলট ও শচীন পাইলটের কোন্দল রাস্তায় নেমে আসে। এবার সতর্ক হয়ে চলতে চাইছেন সোনিয়ারা। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এআইসিসির ওই শীর্ষনেতা। তবে রাষ্ট্রপতি ভোটে পরাজয় যেহেতু নিশ্চিত, তাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।