সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শোনা গিয়েছিল, ৮০০ কোটি টাকার বিনিময়ে নাকি একটি হোটেল সংস্থার কাছ থেকে পাতৌদির রাজপ্রাসাদ উদ্ধার করেছেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। সেই গুঞ্জন পত্রপাঠ নাকচ করে দিলেন বলিউডের নবাব। জানিয়ে দিলেন, এই খবর বিশাল অত্যুক্তি। রাজমহলের যা দাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাও সঠিক নয়। একটি সাক্ষাৎকারে সইফ জানান, পতৌদির রাজপ্রাসাদ তাঁর কাছে অমূল্য সম্পত্তি। এবং তিনি যেহেতু ইতিমধ্যেই রাজপ্রাসাদটির মালিক, তাই প্রাসাদের মালিকানা বদলের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
প্রসঙ্গত, নিমরানা হোটেল চেনের অন্তর্ভুক্ত পতৌদি প্যালেস। সেই সংস্থার সঙ্গে পতৌদি পরিবারের আলাদা আর্থিক চুক্তি আছে বলেই জানিয়েছেন সইফ। দিনকয়েক আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী করিনা কাপুর (Kareena Kapoor) এবং ছেলে তৈমুর আলি খানকে (Taimur Ali Khan) নিয়ে পতৌদি থেকে মুম্বই ফিরেছেন সইফ। তারপরই বলেছেন, “এই মহলের আর্থিক মূল্য ধার্য করা অসম্ভব। কারণ আবেগের দিক থেকে এই সম্পত্তি অমূল্য। আমার ঠাকুমা-ঠাকুর্দা আর আমার বাবা সেখানে সমাধিস্থ। জায়গাটার সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে। পতৌদি প্যালেসে আমি শান্তি পাই, নিরাপদ বোধ করি।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “ওই জমির বয়স কয়েকশো বছর। তবে ঠাকুমার জন্য রাজমহলটা আমার ঠাকুর্দা তৈরি করেছিলেন প্রায় একশো বছর আগে। তারপর সময় বদলে যায়। তাই আমার বাবা রাজমহলটা লিজ করেছিলেন।”
[আরও পড়ুন: সুশান্ত মামলায় এইমসের রিপোর্ট পুনর্মূল্যায়ণ হোক, মোদির কাছে আরজি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর]
সইফ জানিয়েছেন, পিতা মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরে রাজমহল ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা জাগে তাঁর মনে। “তাই যখন সুযোগ এল, লিজের বকেয়া টাকা শোধ করে প্যালেসের মালিকানা নিয়ে নিলাম। ন্যায্য আর্থিক চুক্তিই হয়েছে। আর যেহেতু আমি বরাবরই রাজমহলের মালিক ছিলাম, নতুন করে সেটার হাতবদলের প্রশ্ন ছিল না।” জানান সইফ।
হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির প্রাসাদটি। স্থানীয়দের কাছে ইব্রাহিম কোঠি বলেও পরিচিত। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। সইফের ঠাকুর্দা ইফতিকার আলি খান ছিলেন পতৌদির শেষ নবাব। এই প্রাসাদে শ্যুটিং হয়েছে জুলিয়া রবার্টসের বিখ্যাত হলিউড ছবি ‘ইট প্রে লাভ’, ‘মঙ্গল পাণ্ডে’, ‘বীর জারা’, ‘গান্ধী: মাই ফাদার’ এবং ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহন’-এর মতো হলিউড-হলিউড ছবির।