নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নকল আধার কার্ড বানিয়ে নকল মোবাইল সিম কার্ড তৈরি। এমনই এক বড়সড় চক্রের খোঁজ পেল সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। যাদের কাছে ৬ হাজার নকল সিম কার্ড, ২৫টি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার ও রাউটার উদ্ধার করা হয়েছে। আধার কার্ড মিলেছে ৭৩৯টি।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, নীরবে অপরাধ সংগঠিত করতে এই নকল সিম মোবাইলে ব্যবহার করা হত। যার জেরে অপরাধের পর তাদের কোনও হদিশ মিলত না। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ, সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ মিলে চার জনকে সাঁইথিয়া থানার কাগাস গ্রামের মানব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মানব ছাড়াও ওই কাজে যুক্ত পাশাপাশি বাড়িতে থাকা প্রণব মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল ও অমিত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফোনে আধার নম্বর দিয়ে সিমকার্ড তোলা হয়। ওই সিম কার্ড দিয়ে ফোন করে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদায় করত।
[আরও পড়ুন: করুণাময়ী থেকে মহিলা TET প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে পুলিশের রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের]
বিহারের বিখ্যাত জামতাড়া গ্যাং এমনই ভুয়ো আধার কার্ড দিয়ে ভুয়ো সিম দিয়ে নতুন নতুন কায়দায় অপরাধ সংগঠিত করছে। আই ই এম আই ধরে যার হদিশই করতে পারছে না পুলিশের অত্যাধুনিক যন্ত্র। যার পিছনে আছে এই নকল আধারে নকল সিমের চক্র। কোনও বিজ্ঞাপন নেই। প্রচার নেই। শোরুম নেই। তবুও সাঁইথিয়ার কাগাসে অপরাধীরা ছুটত নকল সিমের আশায়। যা তাদের ভাষায় ‘কাটাই সিম’ বলে পরিচিত।
নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, আমরা মোবাইলের আই ই এম আই ধরে কোম্পানিদের কাছে তথ্য জানতে চাইব। কতদিন আগে কীভাবে এই হাজার হাজার সিম তারা ছেড়েছে, এর সঙ্গে কোম্পানির কেউ যুক্ত কিনা – তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালানো হবে। সুপার আরও জানান, জামতাড়া গ্যাং এই ধরনের হোয়াইট ক্রাইমে এই সিম ব্যবহার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ৬ হাজার সিমের সঙ্গে ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ২৫টি কিপ্যাড ফোন, একটি ল্যাপটপ-সহ আরও অনান্য আধুনিক গেজেট উদ্ধার হয়েছে।