দেব গোস্বামী, বোলপুর: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। এবার তাঁর সময়কালে কেনা ২ টি মোবাইলকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কাটা গেল প্রাক্তন উপাচার্যের মাইনে।
বিষয়টা ঠিক কী? বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুটি ফোন কেনা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর ওই ফোনগুলি বিশ্বভারতীকে ফেরত দিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি নাকি ফোন ফেরত দেননি। এদিকে প্রাক্তন উপাচার্যের দাবি, তিনি বিশ্বভারতীকে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন যে ফোনগুলিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। তাই ফোন ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে শেষ মাসের বেতন থেকে ফোটদুটির দাম কেটে নেওয়ার আবেদনও জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকেও।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে মাথা কেটে ফেলব’, অন্তরাল থেকে বার্তা সন্দেশখালির শাহজাহানের]
বিশ্বভারতী মারফত জানা গিয়েছে, উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রায় তিন লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। তাঁর শেষ মাসের বেতন থেকে ফোন বাবদ মোট ৪৫,৪৯৮ কেটে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। নিন্দুকদের দাবি, ফোন নিয়ে যাওয়ায় বেতন কাটা যাচ্ছে বিদ্যুৎবাবুর। তবে সূত্রের খবর, প্রাক্তন উপাচার্য নিজেই তিন তিনবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে ফোনের টাকা কেটে বাকি বেতনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও মেয়াদ শেষ হবার পরও পূর্বিতায় থাকাকালীন পরিচারিকা-সহ সমস্ত খরচা মিটিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি। অযথা কেউ কেউ বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতীর কর্মী অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, “প্রাক্তন উপাচার্য মেয়াদ শেষে যাবার সময় দুটি ফোন নিয়ে গিয়েছেন সেটা জানিয়ে গিয়েছেন। বারংবার সেই ফোনের দাম দিয়ে দেবেন সেটাও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁকে পর্যন্ত শেষ মাসের বেতন না দিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে একদল।”