সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙাড়া! হিমাচলপ্রদেশে রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে 'হট টপিক' এই সুস্বাদু তেলেভাজাই! কারণ, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা সুস্বাদু সিঙাড়া নাকি খেয়ে ফেলেছেন তাঁরই নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতে মুখ্যমন্ত্রী অপমানিত বোধ করছেন। এতটাই যে, শেষমেশ পুরো ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ফেলেছেন তিনি।
গত ২১ অক্টোবর হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যের সিআইডি সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে যান। সিআইডির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর জলখাবারের জন্য এক ফাইভ স্টার হোটেল থেকে সিঙাড়া আনানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সিঙাড়া মুখ্যমন্ত্রীর প্লেট পর্যন্ত পৌঁছয়নি। সেটা নাকি দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরাই সেই সিঙাড়া সাবাড় করেন। তাতে নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিআইডির শীর্ষকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
সিআইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই পুরো কাণ্ডকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, "রাজ্যের কংগ্রেস সরকার এখন মুখ্যমন্ত্রীর সিঙাড়া নিয়ে বেশি ভাবছে। রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে ভাবার সময় নেই। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সিঙাড়া যেভাবে হাপিশ হয়েছে, তাতেই স্পষ্ট প্রশাসনের শীর্ষস্তরে সমন্বয়ের কতটা অভাব।" যাই হোক, সব মিলিয়ে হিমাচল রাজনীতিকে মুখরোচক করে দিয়েছে সিঙাড়া।
আসলে পাহাড়ি রাজ্যটির কংগ্রেস সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই টলমল। দল এবং সরকারের মধ্যেও সমন্বয় রাখতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী সুখু। একদিন আগেই সেরাজ্যের কংগ্রেসের প্রদেশ ইউনিটও ভেঙে দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে সংকটে কংগ্রেস সরকার। এসবের মধ্যে এই 'তুচ্ছ' বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করে স্রেফ বিতর্কই বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী সুখু।