বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পাঁচ বছর আগে তৈরি জমি। পাঁচ বছর পর সেই জমির মাটি কি এখনও সমান শক্ত? ধরে রাখতে পেরেছে বঙ্গ বিজেপি? পরখ করে নিতে চাইছে সংঘ পরিবার। তাই দরজায় পঞ্চায়েত ভোট কড়া নাড়লেও সংঘের তরফে প্রচারকদের কাছে কোনও বার্তা যায়নি। আদৌ কোনও নির্দেশ আসবে কি না সন্দিহান তাঁরা। নাগপুর ও দিল্লির নির্দেশের অপেক্ষায় প্রচারকরা।
বঙ্গ বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছে সংঘ পরিবার। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে। তার ফসল ঘরে তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। গত পঞ্চায়েত ভোটে তেমন দাগ কাটতে না পারলেও পরের বছর লোকসভা ভোটে এই দুই অংশেই চমকে দেওয়ার মতো ফল করে গেরুয়া শিবির। এই ফলাফলের জন্য যতখানি না বিজেপির কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি কৃতিত্ব সংঘ পরিবারের। কারণ নিঃশব্দে রাজ্যে কাজ করে গিয়েছেন প্রচারকরা। ভোট প্রচারেও অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিজেপির হয়ে গলার শিরা ফুলিয়েছেন। এমনকী, রাজ্যের বহু বুথে যেখানে বিজেপির সংগঠন নেই, সেখানেও সংঘের প্রচারকরা বুথকর্মীর ভূমিকা পালন করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘একসঙ্গে থাকার সময় পাচ্ছি না আমরা’, সানিয়াকে জড়িয়ে এমন মন্তব্য কেন করলেন শোয়েব?]
কিন্তু এবার বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। সংঘের প্রচারকরা এখন সংগঠনের কাজ করে গেলেও পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন। সংঘের এক ক্ষেত্র প্রচারক জানান, বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা হলেও সংগঠনের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই প্রচারকরা ভোটের কাজে নামেননি। সংঘের সামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে প্রচারকদের কাছে তা সময়মতো পৌঁছে যাবে। তবে আদৌ পঞ্চায়েত ভোটে সংঘ মাথা ঘামাবে কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
যদিও রাজনৈতিক মহল সংঘের এই অবস্থানের পিছনে অন্য কারণ দেখছেন। তাঁদের মতে, আসলে তৈরি করা জমি বঙ্গ বিজেপির নেতারা ধরে রাখতে পেরেছেন কি না পঞ্চায়েত ভোটের মধ্য দিয়ে তা দেখে নিতে চাইছে সংঘ পরিবার। সেই জন্যই পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া থেকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।