সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও মুম্বই বিস্ফোরণের অভিশাপ সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) পিছু ছাড়ল না। ১৯৯৩-এ মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। টাডা আইনের ভিত্তিতে বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। পরে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছিলেন। আবারও গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পেয়েছিলেন। শেষে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলা থেকে মুক্তি পান সঞ্জয়। তবে এবারে শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় আইনে রেহাই পেলেও নাকি মার্কিন আইনের গেরোয় সেদেশের ভিসা পেলেন না সঞ্জয় দত্ত।
[আরও পড়ুন: ‘খলনায়ক’ ক্যানসার কেড়েছে সঞ্জয় দত্তের প্রিয়জনকেও, উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা]
সূত্রের খবর, থার্ড স্টেজের লাং ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার স্লোয়ান কেটেরিং ক্যানসার সেন্টারে যাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় দত্তর। সেখানেই তাঁর মা নার্গিসের চিকিৎসা হয়েছিল। কিন্তু মুম্বই বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় দত্তকে ভিসা দিতে রাজি নয় মার্কিন প্রশাসন। তাই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সঞ্জয়।
[আরও পড়ুন: ‘যোদ্ধার মতো লড়বেন’, ক্যানসার আক্রান্ত সঞ্জয় দত্তের জন্য আবেগঘন পোস্ট যুবরাজ সিংয়ের]
এদিকে সঞ্জয়ের ক্যানসারের খবর শোনা মাত্রই বিশেষ বিমানে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মুম্বই পৌঁছেছেন মান্যতা দত্ত (Maanayata Dutt)। করোনা কালে লকডাউনের সময় থেকে দুবাইয়ে ছিলেন তিনি। স্বামীর অসুস্থতার খবর পেয়েই মুম্বই পৌঁছে গিয়েছেন। বিবৃতি জারি করে লিখেছেন।
“সঞ্জুর দ্রুত আরোগ্য কামনায় যে ভাবে দেশবাসীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, প্রার্থনা করছেন তাতে পরিবারের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞ। বিগত দিনে আমাদের পরিবার অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস এই পরীক্ষাতেও আমরা সফল হব। তবে সঞ্জুর সমস্ত অনুরাগীকে অনুরোধ করছি, দয়া করে কেউ ওর অসুস্থতা নিয়ে ভুল তথ্য বা গুজব ছড়াবেন না। সঞ্জু সমস্ত পরিস্থিতিতেই যোদ্ধার মতো লড়েছে। সঙ্গে পরিবারকেও পেয়েছে। ঈশ্বর আবার তাঁকে পরীক্ষার মুখে ফেললেন। এই মুহূর্তে আমাদের আপনাদের সকলের আশীর্বাদ আর শুভেচ্ছা চাই। আমরা এই যুদ্ধে জয় পাবই। চলুন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা চারদিকে আশা-বিশ্বাস আর আলো ছড়াই।”
মান্যতা দত্তের বিবৃতি টুইটে শেয়ার করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচক তরণ আদর্শ –
The post মুম্বই বিস্ফোরণের ‘অভিশাপ’ পিছু ছাড়ছে না সঞ্জয়ের, মার্কিন ভিসা না পেয়ে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.