shono
Advertisement

জল্পনায় ইতি, অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই দিল্লি সফর বাতিল করলেন সাংসদ শতাব্দী

প্রায় আধঘণ্টা ধরে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলেন শতাব্দী রায়।
Posted: 09:12 PM Jan 15, 2021Updated: 09:39 PM Jan 15, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনের মধ্যেই মতবদল করলেন তৃণমূলের ‘বেসুরো’ তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়(Satabdi Roy)। শুক্রবার সন্ধেবেলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর শতাব্দীর কথায় আর অভিমানের লেশমাত্র নেই। এদিন প্রায় আধঘণ্টা আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”আমার যা অভিযোগ, সমস্যা ছিল, তার সবটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। উনি সবটা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।” এরপরই প্রশ্ন – ”আগামিকাল কি দিল্লি যাচ্ছেন?” শতাব্দীর উত্তর – ”না”। এ থেকে স্পষ্ট, তাঁর দিল্লি যাওয়ার আর প্রয়োজন হচ্ছে না।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধে তখন সাড়ে ৬টা পেরিয়েছে। দলের যুব সভাপতি তথা শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে দেখা গিয়েছিল শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষকে। বোঝা গেল, শতাব্দী-অভিষেকের সাক্ষাৎ করানোর অন্যতম কাণ্ডারি কুণাল ঘোষই। সেখানে প্রায় আধঘণ্টা তিনজনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়।

[আরও পড়ুন: গলায় আঘাতের চিহ্ন, বউবাজারে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের দেহ]

সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শতাব্দী রায় জানান যে সাংসদ হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে তিনি যে যে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন, তা বিস্তারিত জানিয়েছেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি শনিবার দিল্লি যাওয়ার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিলের কথাও বলেন তিনি। সূত্রের খবর, শতাব্দীকে শনিবার দিল্লিতে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুকুল রায়। প্রথমে শতাব্দী নিজে সেখানে যেতে রাজি থাকলেও, অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সিদ্ধান্ত বদল করলেন। 

[আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নামে সিবিআই অফিসার সেজে টোপ, পুলিশের জালে জালিয়াত]

দলে থেকে ঠিকমতো কাজ করতে না পারার অভিযোগে সম্প্রতি সরব হয়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী। বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর সেই সুর আরও চড়েছে। নানা জনে নানা অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে আনছেন। সেভাবেই বৃহস্পতিবারও ফেসবুক পোস্টে বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়তে চেয়ে ২ বার ইস্তফাপত্রও পাঠিয়েছিলেন সাংসদ। তবে তা গৃহীত হয়নি। তবে এবার তাঁর যাবতীয় অভিযোগের সুরাহা হবে বলেই আশাবাদী বীরভূমের তিনবারের সাংসদ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement