নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তিনবারের জয়ী সাংসদ তিনি। লোকসভা নির্বাচনী যুদ্ধে (Lok Sabha Election 2024) এবারও বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূলের সৈনিক শতাব্দী রায়। জয়ের ব্যাপারে বরাবরই আশাবাদী তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। সাঁইথিয়ার গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। উলটে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর জবাব, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। ওটা তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছে।”
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দিনকয়েক আগেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁইথিয়া। সেখানে অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান পাঁচজনকে নিয়ে কোর কমিটি এবং ২১ জনকে নিয়ে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেন। তার পরই অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখের অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হন। হাতাহাতি, মারামারি হয় দুপক্ষের। সাবের আলির অনুগামী খাইরুল শেখ পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, কাজল শেখের অনুগামীরা তাঁকে মারধর করে টাকা কেড়ে নেয়। এছাড়া খয়রাশোলেও প্রায়শয়ই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক কাণ্ড ছত্তিশগড়ের শপিংমলে, বাবার কোল থেকে পড়ে মৃত্যু একরত্তির]
এই অশান্তি নিয়ে মাথা ঘামাতেই নারাজ বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী রায়। বরং তিনি দলীয় কাজকর্মে ব্যস্ত। বুধবার সিউড়ির তৃণমূল কার্যালয়ে বীরভূম জেলা কোর কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) এবং বোলপুরের অসিত মাল। এছাড়া ছিলেন কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। ওই বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারকা প্রার্থী।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোথায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে, তা নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই। কারণ, যে লোকগুলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করছে বলে রিপোর্ট হবে, তারাই দুদিন পর হাতে হাত ধরে ভোট করতে যাবে। তখন ওই রিপোর্টটা বেকার হয়ে যাবে।’’ এর পর হাসতে হাসতে তিনি আরও বলেন, ‘‘ওটা তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ইলেকশন এলে সবাই এক হয়ে ভোট করে।’’ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, বিরোধীদের তোলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ যে নিছক মন গড়া নয়, তা শতাব্দীর প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট।