shono
Advertisement

Breaking News

বাহরিনের পর এবার ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিল সৌদি আরবও

মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই অনুমতি দিল তাঁরা।
Posted: 10:43 PM Dec 10, 2020Updated: 10:43 PM Dec 10, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ করোনা সংক্রমণ রুখতে বাহরিনের (Bahrain) পর এবার ফাইজার টিকাকে অনুমতি দিল সৌদি আরবও (Saudi Arabia)। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই অনুমতি দিল তাঁরা। বৃহস্পতিবার সৌদি প্রেস এজেন্সির তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে ব্রিটেন (Britain)। শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণও। এরপর বাহরিন এবং কানাডাও (Canada) এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়। এরপরই এদিন সৌদি আরবও নিজেদের নাগরিকদের জন্য এই টিকাটিকে ব্যবহারের অনুমতি দিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‌‘‌সৌদি আরবে ফাইজার–বায়োনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি। করোনা রুখতে দেশের স্বাস্থ্যদপ্তর এবার এই টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করতে পারবে।’‌’ যদিও কবে থেকে দেশের সাধারণ নাগরিককে করোনার এই ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি ওই বিবৃতিতে।

[আরও পড়ুন: এখনও হার মানেননি ট্রাম্প, এর মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু মেলানিয়ার]

এদিকে, নয়া এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে কিন্তু কিছুটা বিতর্কও তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার গণ টিকাকরণ শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাল কেটেছে। যাঁদের অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ফাইজারের (Pfizer) করোনা প্রতিষেধক না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা। কারণ যে সমস্ত মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জনের আগেই অ্যালার্জি ছিল। টিকা নেওয়ার পর দু’জনের শরীরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তারপরই এই সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে টিকাটির অনুমতি দেওয়ার পর বরিস জনসনের সরকার জানিয়েছিল, “স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অর্গানাইজেশন (MHRA) এই সম্ভাব্য প্রতিষেধক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। সেই প্রস্তাব মেনে নেয় ব্রিটিশ সরকারও। আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্রিটেনের সর্বত্র এই প্রতিষেধক মিলবে।” তবে টিকাকরণ শুরু হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তে সামান্য বদল আনা হয়েছে বলেই জানান, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টিফেন পোইস (Stephen Powis)। তিনি জানান, অ্যালার্জিপ্রবণ দুই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা। তাঁদের সুস্থতার হারও স্বস্তিজনক। তবে আপাতত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, এমন মানুষকে এই প্রতিষেধক দেওয়া যাবে না।

[আরও পড়ুন: চিনা যোগ ও কর ফাঁকির অভিযোগ, বিপাকে হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিডেনের ছেলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement