সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ডিসেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই রায় পুনর্বিবেচনায় রাজি হল শীর্ষ আদালত। নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছিল। যার ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় ভূস্বর্গ। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। আন্দোলনে নামে উপত্যকার স্থানীয় দলগুলিও। যার পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মামলা ওঠে সর্বোচ্চ আদালতে।ওই মামলায় ৩৭০ ধারা বাতিলকে বৈধ বলেই জানানো হয়েছিল। আগামী ১ মে নিজের সেই রায় পুনর্বিবেচনার মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছর ১১ ডিসেম্বর ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। তাই এই ধারা বিলোপ করার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সংবিধান অনুসারেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন শেষ করতে হবে। এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত রায় খতিয়ে দেখার বিষয়ে মান্যত দিল সর্বোচ্চ আদালত। ১ মে, বুধবার মামলার দিন ধার্য হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাওয়ার ধাক্কায় বেসামাল শাহের চপার, কপাল জোরে বাঁচলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বহু মামলা দায়ের হয়েছিল। সেগুলিকে একত্রিত করে শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সহমত হয়ে জানিয়ে দেয়, “সংবিধানের ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৩৭০ ধারা। এই ধারা বিলোপ করে দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: লাক্ষাদ্বীপের সমুদ্র উপকূলেও তাপপ্রবাহ! কেরলে হিট স্ট্রোকে মৃত ২, দুঃসহ গ্রীষ্মে পুড়ছে দেশ]
শীর্ষ আদালত আরও জানায়, দ্রুতই জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দিতে চলেছে কেন্দ্র। দ্রুতই এই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন। তাছাড়া লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সবুজ সংকেত দেয় সুপ্রিম কোর্ট।